ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় যুবকের চোখ উৎপাটন মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

খুলনায় যুবকের চোখ উৎপাটন মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় মোঃ শাহজালাল নামের এক যুবকের দুই চোখ উৎপাটন মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ দায়িত পেয়েছেন খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার। রবিবার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম মোঃ শাহীদুল ইসলাম বাদীর নারাজি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, মোঃ শাহজালালের দুই চোখ উৎপাটনের ঘটনায় তার মা রেনু বেগমের দায়েরকৃত মামলাটির তদন্তের জন্য এর আগে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়। পিবিআই পরিদর্শক মোঃ বাবলুর রহমান খান তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। রবিবার শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য কেএমপির ডিসি ডিবিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী ২৫ মার্চ মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই পরিদর্শক মোঃ বাবলুর রহমান খান উল্লেখ করেন, মামলার প্রধান আসামি খালিশপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসিম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সপক্ষে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। একইভাবে আসামি এএসআই রাসেল, এসআই তাপস কুমার পাল, এসআই মোঃ মোরসেলিম মোল্লা, এসআই মোঃ মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে শাহজালালের মা রেনু বেগম বাদী হয়ে ১১ পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তা-সদস্যসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই শাহজালাল মহানগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনির শ্বশুরবাড়ি থেকে রাত ৮টায় তার শিশু কন্যার জন্য দুধ কিনতে বাসার পাশ্ববর্তী দোকানে যায়। এ সময় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খানের নির্দেশে তাকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে শাহজালালকে ছাড়ানোর জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালালকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে শাহজালালকে দুইটি চোখ উপড়ানো অবস্থায় দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা।
×