ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় শ্বশুরের ঘাড় ধাক্কা

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মাগুরায় স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় শ্বশুরের ঘাড় ধাক্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ॥ স্ত্রীর মর্যাদা স্বীকৃতি ও সন্তানের পিতৃত্বে¡র দাবি নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন গৃহবধূ তন্নী খাতুন। তবে সেখানে তার ঠাই হয়নি। বরং শ্বশুর মনিরুজ্জামান মন্নু তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ১৫ দিনের কন্যা সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির গেটে গত দু’দিন ধরে শনিবার থেকে অবস্থান করছেন হতভাগা ওই গৃহবধূ। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আমৃত্যু স্বামীর বাড়ির সামনেই অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রাড়ীখালী গ্রামে। ভিকটিম তন্নী খাতুন জানান, ২০১৭ সালে তিনি মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে ক্লাস করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সৌদি প্রবাসী প্রতিবেশী চাচাতো ভাই এনামুল কবীর লিটনের সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় লিটন তাকে বলে পার্শ্ববর্তী ধোয়াইল গ্রামে বিয়ে দেয়া তার বড় বোন রানী খাতুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি লোকেরা দ্রুত তাকে ফরিদপুর যেতে বলেছে। এ অবস্থায় তিনি লিটনকে বড় ভাই হিসেবে বিশ্বাস করে তার মোটরসাইকেলে ওঠেন। পরে ফরিদপুর নেয়ার কথা বলে তিনি তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর জোর করে তাকে ঢাকা নিয়ে একটি বাসায় আটকে রাখে। এ অবস্থায় একজন নারী হিসেবে তার সব শেষ হয়ে গেছে বলে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আট দিনের মাথায় কাজী অফিসে নিয়ে লিটন তাকে বিয়ে করে। কিছুদিন ঢাকার একটি বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে বসবাস করেন। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হলে স্বামী লিটন তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করা জন্য চাপ দেয়। তবে তিনি এতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী লিটন তার উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। এরপর আমার মা অসুস্থ বলে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার কথা বলে গত ৬ জানুয়ারি তাকে ঝিনাইদহের আরাপপুর বাস স্ট্যান্ডে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই রাতে তিনি ঝিনাইদহের নানা বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রাড়িখালী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসলে তারা সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দেয়। তারপর থেকে তার স্বামী লিটনও বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। অবশেষে তিনি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শ্বশুর মনিরুজ্জামান মন্নুর সঙ্গে একাধিকার সালিশ বৈঠক করলেও তিনি পুত্র বধূকে বাড়িতে ঠাই দেননি। এ অবস্থায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। অবশেষে তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে কন্যা সন্তানকে নিয়েই আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে তিনি স্বামীর বাড়িতে গেলে শ্বশুর মন্নু মিয়া তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ির বাইরে বের করে দেন। এরপর থেকে সারাদিন তিনি ১৫ দিনের শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন। স্বামী, সন্তানের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আমৃত্যু তিনি সেখানেই অবস্থা করবেন বলে ঘোষণা দেন। তন্নীর বাবা আলাল বিশ্বাস বলেন, মেয়েকে ফেলে রেখে জামাই বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। তিনি মেয়েকে তুলে নেয়ার জন্য তার শ্বশুর নান্নু মিয়াকে অনেক বার হাতে পায়ে ধরেছেন। কিন্তু তার হৃদয় গলেনি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চান। যশোরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, মণিরামপুরে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল সঙ্গে নিয়ে এক তরুণী (২২) প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থানের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিশ্রুতি পেয়ে ৪দিন পর বাপের বাড়িতে ফিরলেও প্রতারক ব্যাংকার প্রেমিক বিয়ে করতে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গামহিষদীয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে আবদুর রহমানের সঙ্গে এক বছর আগে পারিবারিকভাবে অভয়নগর উপজেলার বারান্দি ইউনিয়নের পায়রা গ্রামের আবদুস সালাম মোল্যার মেয়ে (অনার্সের ছাত্রী) রুমা খাতুনের বিয়ে ঠিক হয়। সেই থেকে রহমান এবং রুমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথা থাকে রহমান চাকরি পাবার পর রুমাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবেন। চাকরির কথা বলে রুমার পিতার কাছ থেকে ইতোপূর্বে মোটা অংকের অর্থও নিয়েছেন হবু জামাই রহমান। বর্তমানে রহমান ব্যাংক এশিয়ায় চাকরি করছেন এবং তার কর্মস্থল ঢাকার গাজীপুর। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে রুমাকে বিয়ে না করে আবদুর রহমান গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঝিকরগাছায় অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক রহমান ওই মেয়ের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন।
×