ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাক-ভারত সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি, পালাচ্ছে গ্রামবাসী

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পাক-ভারত সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি, পালাচ্ছে গ্রামবাসী

ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ব্যাপক গোলা বিনিময়ের ফলে উরি সেক্টরের গ্রামগুলো থেকে শত শত লোক পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে শনিবার কাশ্মীরের পুলিশ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হুসেন এ কথা জানিয়েছেন।- খবর ওয়েবসাইটের। ইমতিয়াজ হুসেনের মতে, লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরি সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দু’পক্ষের মধ্যে গোলা বিনিময় শুরু হয়। তবে কী কারণে নতুন করে গোলা বিনিময় শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। চলতি মাসে কাশ্মীরে ভারতীয় এক সেনা শিবিরে চালানো হামলায় ছয় সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত বলেছে, এজন্য পাকিস্তানকে দাম দিতে হবে। পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ জানান, পাকিস্তানের ছোড়া গোলা উরি এলাকায় এসে পড়ছে। এ কারণে শত শত গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে এই প্রথম গোলাবর্ষণে ভারি কামান ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশ দুটির সেনাবাহিনী গত কয়েক বছর ধরেই এই সীমান্তে পরস্পরের বিরুদ্ধে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও মর্টারের গোলা বিনিময় করে আসছিল। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ একটি মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী ভারতীয় পাশের গ্রামগুলোতে বসবাসরত লোকজনকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, উরির একটি স্কুলে প্রায় সাত শ’ লোক আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাৎক্ষণিকভাবে এসব বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দু’বার কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভক্ত কাশ্মীরের দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু উভয়েই কাশ্মীরের পুরো মালিকানা দাবি করে আসছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তান একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ভারতের। অপরদিকে এ ধরনের কোন কিছু করার কথা অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।
×