ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

বাংলাবান্ধা বন্দরে পচা গম ॥ ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাংলাবান্ধা বন্দরে পচা গম ॥ ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করার সময় ১৯০ মেট্রিকটন পচা গম আটকের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না আসায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বিষয়টি দেড়মাস ধরে ঝুলে থাকলেও দেখার কেউ নেই। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের ১৭ জানুয়ারি নীলফামারী জেলার মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে ১৯০.১০ মেট্রিক টন গম আমদানি করে। এ সময় উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্র গমগুলোতে নানা রকম ক্ষতিকারক জীবাণু রয়েছে বলে আশঙ্কা করে। কয়েকদিনের মধ্যে তা পরীক্ষা করার জন্য গমের স্যাম্পল ঢাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরীক্ষাগারে প্রেরণ করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং গমগুলো পচা এবং ৫ টি ক্ষতিকারক জীবাণু আক্রান্ত বলে জানানোর পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র আমদানিকৃত গম ফেরত দেয়ার জন্য আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টকে চিঠি দেয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গমগুলো আটক দেখালেও গম ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেননি। আটককৃত গম এখনও ওয়্যার হাউজে থাকার কারণে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এতে স্থলবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমদানি ওরফতানিকারকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আমদানিকারক বলেন, গমগুলো ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য কাস্টমসের উপর মহলে চেষ্টা-তদবির চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাকির হোসেন তাহের (কাজল) জানান, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×