ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালখালী খালে ভাঙ্গন ॥ আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বোয়ালখালী খালে ভাঙ্গন ॥ আতঙ্কে এলাকাবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ খালের ভাঙ্গনে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন গ্রামের লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। গত ৭ বছরে বাড়ি-ঘর ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বহু পরিবার বর্তমানে ভাড়া বাসা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কর্ণফুলী নদীর শাখা বোয়ালখালী খালের দক্ষিণ পাড়ে পটিয়া উপজেলার করনখাইন এলাকার অনন্ত ২০ পরিবারের বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ওই এলাকার আরও অর্ধশতাধিক পরিবারের শিশু ও নারী-পুরুষ ভাঙ্গনের আতঙ্কে রয়েছে। সর্বশেষ পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পৈত্রিক ভিটের অর্ধেক জায়গা ও বসতঘরের বেশির ভাগ অংশ খালে বিলীন হয়ে গেছে। জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর শাখা খাল বোয়ালখালী খালটি পটিয়া উপজেলার চানখালী খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। খালের পাড়ে বর্তমানে করনখাইন গ্রামে অর্ধশতাধিক বসতঘর রয়েছে। তার মধ্যে গত ৭ বছরে নুরুচ্ছফা, নুরুন্নবী, কবির আহমদ, নূর আহমদ, আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর, বদিউল আলম, তৌহিদুল আলম, মনির হোসেন, ইদ্রিস, সুলতান আহমদ, নূর হোসেন, জসিম, জাকির, আলী হোসেন, শফি ও দিদারুল আলমের বসতঘর খালে বিলীন হয়ে গেছে। করনখাইন এলাকার ষাটোর্ধ বয়সের চুন্নু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, জোয়ার-ভাটার বোয়ালখালী খালের পানির স্রোতে তাদের এলাকার একে একে বসতঘর ভেঙ্গে পড়ছে। বিষয়টি গ্রামবাসী স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসনকে জানানোর পরও ভাঙ্গন রোধ করতে কোন ব্যবস্থা নেননি। বর্তমানে তাদের গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। খাল পাড় এলাকার দিনমজুর বদিউল আলমের পরিবার খুবই ঝুঁকির মধ্যে বর্তমানে বসবাস করছে। যে কোন মুহূর্তে তাদের বসতঘর খালে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনমজুর বদিউল আলম, তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ওই পরিবারটি পৈত্রিক ভিটে মাটি হারালে তাদের ভাড়া বাসায় যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।
×