ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত ॥ সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত হোক দেশ

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অভিমত ॥ সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত হোক দেশ

ঢাকার শিল্পকলা একডেমিতে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবার চতুর্থবারের মতো হয়ে গেল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিল্প প্রদর্শনী ‘ঢাকা আর্ট সামিট’ (ডাস)। শিল্প এবং স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এবার ২ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিল্পানুরাগী মানুষকে মাতিয়ে রেখেছিল এই আয়োজনটি। ঢাকা আর্ট সামিট একটি আন্তর্জাতিক, অবাণিজ্যিক, দক্ষিণ এশীয় আর্ট এবং আর্কিটেকচার সম্বন্ধীয় গবেষণাধর্মী এবং প্রদর্শনীধর্মী প্ল্যাটর্ফম। শিল্প এবং স্থাপত্য নিয়ে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন যে আয়োজন করেছে এর আগে ঢাকায় এত বড় আয়োজন সচরাচর হতে দেখা যায়নি। ঠিক একমাস আগে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার আবাহনী মাঠে ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত হয়ে গেল বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের আসর। এই অয়োজনটিও দেশে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন। ১৬ থেকে ১৮ নবেম্বর বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব তথা ‘ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৭’। নবেম্বর মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে হয়ে গেল স্কয়ার গ্রুপের সান কমিউনিকেশনের উদ্যোগে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় লোকসঙ্গীতের আসর ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট।’ ফোক সঙ্গীত নিয়ে এটিও এযাবতকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন। এছাড়া ছোট বড় শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হয়ে থাকে। ঢাকা যে আবহমান কাল থেকে শিল্প-সংস্কৃতিরও একটি রাজধানী বা পীঠস্থান একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু, ঢাকার বাইরে সারাদেশে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা কতটুকু হচ্ছে এই প্রশ্ন থেকে যায়। এখানে দুটো অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করার মত। ১. দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় আমার জন্ম। প্রায় দুই যুগের বেশি সময় আগে আমার স্কুলের পাঠ সেখানেই হয়েছিল। যদিও শিল্প-সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বরাবরই পিছিয়ে থাকা একটি জনপদ এটি। তারপরও আমার বাল্যে এখানে একটি হলেও সঙ্গীত শিক্ষার সংগঠনের অস্তিত্ব আমি দেখেছি। ঐ একটি সংগঠনই নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান করে ছোট্ট মফস্বল শহরটিকে মাতিয়ে রাখত। আবার আর একটি গ্রুপ ছিল যেটি বছরে অন্তত একবার হলেও একটি বার্ষিক নাটক মঞ্চায়ন করত। স্কুলে বার্ষিক নাটক হওয়া ছিল একপ্রকার বাধ্যতামূলক। সেই সময় এই সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মঞ্চনাটক দেখার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ত। ব্যক্তিগতভাবে গত প্রায় দেড় যুগ ঢাকাবাসী হয়েছি। ঢাকায় শিল্প সংস্কৃতির রং এবং রূপ আমি ঠিকই আস্বাদন করছি। কিন্তু আমার ফেলে আসা শৈশবের সেই বিরামপুর এখন শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় কেমন আছে কয়েকদিন আগে সেটি টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম এক বন্ধুর কাছে। তার কাছ থেকে যা জানলাম সেটি শুধু দুঃখজনক বললে ভুল হবে; চরম হতাশাজনকও বটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন সংগঠন গড়ে ওঠা তো দূরের কথা বরং সঙ্গীত চর্চার যে সংগঠনটি ছিল সেটি এখন আর নেই। বার্ষিক নাটক করতো যে গ্রুপটি সেটিও এখন আর নেই। আর স্কুলে যে বার্ষিক নাটক হতো সেটিও আর নিয়মিত হয় না। শহরটি এখন আর ছোট্ট নেই। এটি এখন একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। যদিও উপজেলা শহর কিন্তু তারপরও অনেক ছোটখাটো জেলা শহরের থেকেও জাঁকজমক হয়ে উঠেছে। বড় বড় অট্টালিকা গড়ে উঠেছে। মার্কেট, শপিংমল কোন কিছুর কমতি নেই। রাজধানী ঢাকায় বসে যে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তার সবটাই পাওয়া যায় সেখানে। মানুষের জীবনযাত্রার অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সেখানকার জীবনে কোন শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা নেই। গত প্রায় দশ-পনেরো বছর শিল্প-সংস্কৃতিহীন একটি সমাজ বয়ে চলেছে। সেখানে জন্ম নেওয়া এখনকার প্রজন্ম শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা কী জিনিস সেটি বোঝে না। যার ফলে সামাজিক এবং নৈতিক অবক্ষয় চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে এখানকার তরুণদের যেমন মাদকাসক্ত হয়ে পড়াসহ নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে, তেমনি মৌলবাদী শক্তির উত্থানও চোখে পড়ার মতো। যদিও মৌলবাদী শক্তি আগে থেকেই সেখানে তীব্রভাবে জেঁকে বসেছিল। এখন সেটি আরও ব্যাপকতা লাভ করেছে। সব মিলিয়ে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতির চর্চা না থাকায় এই জনপদটি এখন মৌলবাদ আর জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে চলেছে এটি সন্দেহাতীতভাবে বলা চলে। ২. ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাস করেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রগতিশীলতার চর্চা করেছি। সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, মঞ্চনাটক করেছি, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে যে কোন প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। ঐ সময়টিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয়ভাবে কর্মরত ছিল। প্রতিদিনই সংস্কৃতি চর্চা হতো জোরালোভাবে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি সন্ধ্যা থাকত ঢোল-বাদ্যের তালে মুখরিত। আর প্রতিমাসে বড় বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনতো হতোই। এই আয়োজনগুলোতে ঢাকা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। পুরো ক্যাম্পাস মেতে উঠত ওই আয়োজনগুলোর সঙ্গে। কী সঙ্গীতানুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান, কী মঞ্চ নাটকের শো; প্রতিটি আয়োজনেই থাকত উপচে পড়া ভিড়। ২০০১ সালে ক্ষমতার পালা বদলে ক্যাম্পাসে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের ফলে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকা- এবং আন্দোলন সংগ্রামকে দমিয়ে দেয়ার নানা পাঁয়তারা শুরু হয়। ২০০১-এ সরকার পরিবর্তন হয়। আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম ২০০২ পর্যন্ত। মাত্র এক বছরেই ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে ভাটা পড়তে দেখেছি। পরে সময়ের পথ ধরে যেহেতেু আগের চেয়ে পঠিত বিভাগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সেজন্য ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন বাড়ার কথা; সংগঠনে কর্মীর সংখ্যাও বাড়ার কথা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি; কর্মীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়নি। দুই একটি সংগঠনের জন্ম হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই সেগুলো হারিয়ে গেছে। গত বছরের কোন এক সময়ে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যগুরু ওস্তাদ বজলুর রহমান বাদলের ওপর বিটিভির জীবনীভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘কীর্তিমানের গল্পকথা’ ধারণের জন্য রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুইদিন থাকতে হয়েছিল। আমি ছাত্রাবস্থায় যে সংগঠনটির ব্যানারে মঞ্চ নাটক করতাম এই দুই দিনের একদিন আমার রেখে আসা সংগঠনটির একটি মঞ্চনাটকের প্রদর্শনীও হয়। প্রদর্শনীতে যা দেখলাম সবচেয়ে বড় হতাশার বিষয় হচ্ছে দর্শকের শোচনীয় অভাব। দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শনী অর্ধেক না হতেই মিলনায়তনের দরজা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও দর্শক খরা থেকেই যায়। প্রদর্শনী শেষে গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে আলাপে যা বুঝলাম সেখানে এখন এভাবেই মঞ্চনাটকের শো হয়। শুধু মঞ্চ নাটকই নয়; সঙ্গীতানুষ্ঠানসহ যে কোন সাংস্কৃতিক আয়োজনেই এখন দর্শকের দৈন্যতা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন করার মতো কর্মীও এখন আর আগের মতো পাওয়া যায় না। এখন আর ক্যাম্পাসের প্রতিটি সন্ধ্যা ঢোল-বাদ্যের তালে জোরালোভাবে মুখর হয়ে ওঠে না। আগে এক-একটি সংগঠনে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন নিয়মিত কর্মীর পদচারণায় মুখর থাকতো সংগঠনগুলো। এখন কর্মী সংখ্যা ৭/৮ জন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ জনে নেমে এসেছে। শুধু তাই নয় দেড় যুগ আগের কর্মরত ১৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এখন কমতে কমতে ৭/৮টিতে দাঁড়িয়েছে। যাও আছে সেগুলো নিভু নিভু করে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এখনতো মৌলবাদী শক্তি নেই তারপরেও কেন এই অবস্থা সেটিও জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওদের ভাষায়- ‘এখনকার ছেলে মেয়েরা নাকি খুব বেশি অন্তর্মুখী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাদিকে তারা যুক্ত। এজন্য সাংস্কৃতিক কর্মকা- করার সময় তারা পায় না।’ একসময় সাংস্কৃতিক কমকা-ে মুখর থাকা দেশের একটি অন্যতম প্রধান ও বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন এমন সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে ভাটা পড়েছে তা রীতিমতো গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুটো অভিজ্ঞতা দেশের দুই প্রেক্ষাপটের দুটি জায়গার। এছাড়াও দেশের আরো কয়েকটি জায়গাতেও আমি আমার বন্ধু এবং পরিচিতজনদের নিকট খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে, আগের মতো সাংস্কৃতিক আবহ এখন আর নেই। কেন নেই তা ভাবার বিষয়, গবেষণার বিষয়। আজকে দেশে নয় বছরের উপরে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংস্কৃতিবান্ধব সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে, কিন্তু দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকা- ছড়িয়ে দেয়ার যে প্রবণতা সেইভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেন সাংস্কৃতিক কর্মকা- বিকশিত হচ্ছে না সেটি নিয়ে গভীর ভাবনার সময় এসেছে। সারাদেশে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরির সময় এসেছে। সমাজ থেকে কূপম-ূকতা দূর করতে হলে; অন্ধকার দূর করতে হলে দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত এক একটি শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক হাব তৈরি করতে হবে। তা না হলে জঙ্গীবাদ আর মৌলবাদের অভিশাপ থেকে আমাদের কখনোই মুক্তি ঘটবে না। সরকারী-বেসরকারী সব মহলকেই শুধু রাজধানী ঢাকায় বড় বড় শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক আয়োজন করলেই চলবে না। দেশের প্রতিটি ছোট-বড় শহরকেই এতে সংযুক্ত করতে হবে। কারণ ঢাকা মানেই সমগ্র বাংলাদেশ নয়। ঢাকার দুই কোটি মানুষ ছাড়াও সারা বাংলাদেশে আরও ষোলো কোটি মানুষের বসবাস আছে, এটিও মাথায় রাখতে হবে। আর একটি বিষয় লক্ষণীয়- আমাদের দেশের কতিপয় বেসরকারী টিভি চ্যানেলকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন বিদেশের মাটিতে করতে দেখা যায়। দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে এই আয়োজনগুলো দেশের সংস্কৃতি বিকাশে কিংবা দেশের প্রতি কী দায়বদ্ধতা পালন করে সেটি বিবেচনার দাবি রাখে। তাদেরকে বলা প্রয়োজন, আপনারা এই আয়োজনগুলো ভিনদেশী শহর দুবাই, সিঙ্গাপুর কিংবা কুয়ালালামপুরে না করে এগুলো আপনার আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, যশোর, ফরিদপুর, কুমিল্লা, বগুড়া, কুষ্টিয়াসহ সারা দেশের শহরগুলোতে করুন। তাহলে বৈদেশিক মুদ্রাগুলোও বাঁচবে এবং অন্যদিকে সামান্যতম হলেও আমাদের শহরের মানুষগুলো এই আয়োজনের সঙ্গী হতে পারবে। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা হয়ত আমাদের খেতে পরতে দিতে পারে না। কিন্তু যা দিতে পারে তার গুরুত্ব বা মূল্য সীমাহীন। কাজেই সরকারী-বেসরকারী সকল শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক উদ্যোক্তাকে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ করুন। তাহলেই আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাব। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত হোক দেশের প্রতিটি অঞ্চল আমরা সেটিই প্রত্যাশা করি। লেখক : সংস্কৃতিকর্মী [email protected]
×