ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে গ্রাহকের নতুন ভোগান্তির নাম বিদ্যুত প্রি-পেইড মিটার

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 চট্টগ্রামে গ্রাহকের নতুন ভোগান্তির নাম বিদ্যুত প্রি-পেইড মিটার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে ভোগান্তির আরেক নাম বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার। ভুয়া বিলের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রি-পেইড এসেও মিলেনি গ্রাহকের মুক্তি। কার্ডে টাকা রিচার্জ করার আগেই নানা নামে কেটে নেয়া হয় টাকা। দু শ’ ডিজিটের বিশাল আকৃতির কোডটি মিটারে চাপতে গিয়ে লক হলে গ্রাহকে গুণতে হচ্ছে ১৬শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। নতুন প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহক নয়ন। টাকা রিচার্জ করে কার্ডের দু শ’ ডিজিটের বিশাল আকৃতির গোপন নম্বরটি মিটারে চাপতে গিয়ে লক হয়ে যায়। কয়েকবার লকের বিষয়টি পিডিবিকে জানালে কোন কাজে আসেনি। পরে অনেক দৌড়ঝাঁপ করার পর ৩ হাজার টাকা দিলে এসে মিটারের লক খুলে দেন পিডিবির কর্মকর্তারা। নয়ন বলেন, লক হয়ে গেলে অফিসে যায় বলে লক হয়েছে খুলতে টাকা লাগবে। টাকা দেয়ায় পর লক খুলে দিয়ে যায়। আরেক গ্রাহক আরাফাত। কার্ডে টাকা রিচার্জ করাতে গিয়ে কেটে নেয়া হল মিটার ভাড়া ৮০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ১০০ টাকা আর ভ্যাট ২৩টাকা। ৫০০ টাকার মধ্যে ১৯৪ টাকা কেটে নেয় হয় তার কাছ থেকে। আরাফাত বলেন, বার বার একই ভাবে টাকা কাটছে। কেন কাটছে বলা হলেও কোন উত্তর নাই। নগরীর বাকলিয়া বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের পেছনে প্রি-পেইড মিটার রিচার্জিং করার অফিসে গেলে সময় টিভির কাছে অনিয়মের কথা তুলে ধরেন গ্রাহকরা। নানা নামে কেটে নেয়া টাকার রিসিটের সঙ্গে অপর গ্রাহকের রিসিটের কোন মিল নেই । গ্রাহকরা বলেন, আসলে প্রি-পেইড মিটার হচ্ছে ভোগান্তির নতুন এক মাত্রা। কী কারণে চার ধরনের ভ্যাট নিচ্ছেন আমরা জানি না। তারাও বলেছে না। আগ্রাবাদ বিদ্যুত অফিসের প্র্রধান প্রকৌশলী জানান, প্রযুক্তিগত লক হলে ঠিক করে দেয় পিডিবি কর্মকর্তারা। তবে কেউ ইচ্ছে করে কারসাজির মাধ্যমে বিদ্যুত ব্যবহার করতে চাইলে জরিমানা হিসেবে টাকা নেয়া হয়। বিতরণ বিভাগ দক্ষিণাঞ্চললের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, গ্রাহককে ১৬০০ টাকা দিতে হয়, কারণ বিনা কারণে গ্রাহক যদি মিটারে হস্তপক্ষেপ করে বা খুলে। পার কিলো ওয়াটে প্রতি মাসে একটা চার্জ দিতে হয়। এর বাইরে অতিরিক্ত একটা পয়সা কাটা হয় না। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ১২টি ডিভিশনের আওতায় প্রি-পেইড গ্রাহকের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার।
×