ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হেরেও শেষ ষোলোতে আর্সেনাল

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

হেরেও শেষ ষোলোতে আর্সেনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা আসর উয়েফা ইউরোপা লীগ ফুটবলের শেষ ষোলোর লাইনআপ চূড়ান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ ৩২-এর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের পর ১৬টি দল পেয়েছে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট। এরপর শুক্রবার রাতে হয়ে গেছে শেষ ষোলোর ড্র। এতে নির্ধারিত হয়েছে কোয়াট্র্ার ফাইনালের টিকেট পাওয়ার লড়াইয়ে কে কার মুখোমুখি হবে। পরশু রাতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার ছাড়পত্র না পাওয়া আর্সেনাল। ইংলিশ পরাশক্তিরা দ্বিতীয় লেগে সুইডেনের ক্লাব ওস্টারসান্ডের কাছে হেরে গেছে ১-২ গোলে। তাও আবার নিজেদের মাঠ লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে। তবে রক্ষা, প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে গানার্সরা জিতেছিল ৩-০ গোলে। তাতে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট পেয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। ওস্টারসান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানের হারটা আর্সেনালের ক্লাব ইতিহাসেরই অন্যতম বাজে পরাজয়। এবারই প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে এসেছে সুইডিশ ক্লাবটি। দেশে বরফশীতল আবহাওয়ায় ঠিকমতো অনুশীলনও করতে পারেনি তারা। সুইডিশ লীগেও গত ডিসেম্বরের পর থেকে বিরতি চলছে। এমন একটি ক্লাবের বিপক্ষে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৩ মিনিট যেতেই দুই গোল খেয়ে বসে আর্সেনাল। ২২ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন হোসেম এইশ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই এক মিনিট পর আর্সেনালকে হতভম্ব করে আরেকটি গোল করেন কেন সেমা। বিরতির পর ৪৭ মিনিটে সিড কোলাসিনাকের গোলে ব্যবধান কমায় আর্সেনাল। কিন্তু পরের সময়টায় আর গোল শোধ করতে পারেনি তারা। ম্যাচশেষে আর্সেনালের কোচ ওয়েঙ্গার স্বীকার করে নিয়েছেন, তার দল আত্মতুষ্টিতে ভুগেই এমন হার দেখেছে। শিষ্যদের প্রতি বেশ বিরক্তিও প্রকাশ করেন ফ্রান্সের এই গ্রেট কোচ। এদিকে প্রায় সব প্রত্যাশিত দল পরের পর্বে গেলেও বিদায়ঘণ্টা বেজেছে ইতালিয়ান পরাশক্তি নেপোলির। জার্মান ক্লাব লাইপজেগের পেছনে থেকে বাদ পড়তে হয়েছে দিয়াগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাবকে। লাইপজেগকে তাদেরই ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে নেপোলি। তবে এমন জয়ের পরও ইউরোপা লীগ থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে নেপোলিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতা থাকলেও এ্যাওয়ে গোলের হিসেবে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোতে নাম লিখিয়েছে জার্মান ক্লাব। গত সপ্তাহে স্টাডিও সান পাওলোতে ৩-১ গোলের বড় জয় পেয়েছিল লাইপজিগ। ফিরতি লেগে তাই বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকা দরকার ছিল ইতালিয়ান ক্লাব নেপোলির। ফিরতি লেগে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে নেপোলিকে এগিয়ে দেন পিটর জিলিনস্কি। আর ৮৬ মিনিটে লরেন্টো ইনসাইনের গোলে অসম্ভব কিছুর আশা মনের মধ্যে জেগে উঠেছিল নেপোলি সমর্থকদের। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিরি’এর শীর্ষ দলটিকে। ইউরোপা লীগে টিকে থাকতে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছিল নেপোলি। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট আর দুর্বল শটে ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় গোল পাওয়া হয়নি ইতালির ক্লাবটির। ৩২ মিনিটে বাঁ পাশ থেকে জোরালো এক শট নিয়েছিলেন ইনসাইন। লাইপজিগ গোলরক্ষক গ্যালেক্সি সেটি ঠেকিয়ে দিলেও ধরে রাখতে পারেননি। ডান পাশে দাঁড়ানো জিলিনস্কি চোখের পলকে বল ঢুকিয়ে দেন জালে। ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে দ্বিতীয় গোলটি পায় নেপোলি। এবার ডানপাশ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের আলতো টোকায় গোলরক্ষককে বোকা বানান ইনসাইন। তবে এমন জয়ের পরও বাদ পড়ার যন্ত্রণায় ছটফট করতে হয়েছে অতিথি ফুটবলারদের। শেষ ষোলোর ড্রয়ে কোন শীর্ষ বাছাই কিংবা দেশের প্রতিবন্ধকতা নেই। তাই ১৬টি দলই এক পাত্রেই রাখা হয়। একই দেশের দুটি ক্লাব মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। তবে উয়েফার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশিয়া ও ইউক্রেনের দলগুলো একসঙ্গে পড়তে পারবে না। ড্র’তে যে দলের নাম আগে উঠবে প্রথম লেগ হবে তাদের মাঠে।
×