ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পেসার ও ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ‘বিশেষ ক্লাস’ শুরু

মাশরাফির ফেরার আশায় ওয়ালশও

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 মাশরাফির ফেরার আশায় ওয়ালশও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চৌদ্দ পেসার নিয়ে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ‘বিশেষ ক্লাস’ শুরু হয়েছে শুক্রবার। ‘বিশেষ ক্লাসে’ অবশ্য পাঁচ ব্যাটসম্যানও আছেন। এ ‘বিশেষ ক্লাস’ শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তাই বলেছিলেন। কিন্তু একদিন দেরিতে শুরু হলো। ‘বিশেষ ক্লাস’ চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। এরপর নিদাহাস ট্রফির জন্য দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা উড়াল দেবেন শ্রীলঙ্কায়। এ ট্রফির মধ্য দিয়েই কী আবার ফিরবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা? এমন প্রশ্নও উঠছে। বিসিবি যে চায় মাশরাফি টি২০তে ফিরুক। সেই চাওয়া ওয়ালশেরও। টি২০তে মাশরাফির ফেরা নিয়ে কথা হচ্ছে। বিসিবি থেকে অনুরোধও করা হবে। ওয়ালশও মনে করছেন, মাশরাফি ফিরতেই পারেন। তার কথায় মনে হয়েছে, মাশরাফির ফেরার আশায় আছেন। তিনি বলেছেন, ‘মাশরাফি ফিরতেই পারে; ওর বিকল্প এখনও নেই। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা যাদের আছে, এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। তবে এই সংস্করণে তার ভাল স্কিল আছে। সে এখন বাংলাদেশ দলে কি ভূমিকা পালন করবে, বিষয়টি নির্ভর করছে মাশরাফি ও নির্বাচকদের ওপর। যদি তাকে ফিরতেই বলা হয়, আশাকরি সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে। যদি সে ফেরে আমি তাতে অবাক হব না। ও অনেক প্রতিভাবান।’ মাশরাফির বিকল্প যে রাতারাতি পাওয়া যাবে না, তাও জানিয়ে দিলেন ওয়ালশ, ‘রাতারাতি মাশরাফির বিকল্প পাওয়া যাবে না। তার স্কিল ও অভিজ্ঞতা আছে। তরুণরা তার ওই পর্যায়ে যেতে পারবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর। তবে স্কিলের উন্নতিতে কঠোর পরিশ্রম করতে তাদের সেভাবে তৈরি হতে হবে।’ ‘বিশেষ ক্লাসে’র মাধ্যমেই আসন্ন নিদাহাস ট্রফির ক্যাম্পও শুরু হয়ে গেল। ৬ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় চলবে নিদাহাস টি২০ ট্রফি। এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ছাড়াও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও ভারত অংশ নেবে। এ টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটাররা যেন নিজেদের ভালভাবে প্রস্তুত করে নিতে পারে, এ জন্যই এ ‘বিশেষ ক্লাস’। পেসাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। পাশাপাশি দেশের মাটিতে শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও টি২০ সিরিজে পেসারদের সঙ্গে ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন ব্যর্থ। আর তাই এ ‘বিশেষ ক্লাসে’র আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু এ মুহূর্তে কোন কোচ নেই। তাই ওয়ালশই এ ক্লাসটি করাচ্ছেন। তার ওপরই দায়িত্ব পড়েছে। জাতীয় দলে নিয়মিত থাকা, বাদ পড়া এবং আসন্ন পেসারদের এ ক্লাসে রাখা হয়েছে। বিশেষ ক্লাসে ডাক পাওয়া পেসাররা হলেন- তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, আবুল হাসান রাজু, রবিউল হক, আবু হায়দার, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, কাজী অনিক, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও হোসেন আলী। আর ব্যাটসম্যানরা হলেন- ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, আরিফুল হক, জাকির হাসান ও সাব্বির রহমান। চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল)। যে ক্রিকেটারদের খেলা থাকবে তারা দলের হয়ে খেলবেন। যাদের খেলা নেই তারা এ ‘বিশেষ ক্লাসে’ থাকবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলবে এ ক্লাস। যেহেতু একজন পেস বোলিং কোচ ওয়ালশ। তাই এ ক্লাসে পেসারদের দিকেই বেশি নজর থাকছে সবার। পেসারদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন ওয়ালশ। তিনি এ নিয়ে বলেছেন, ‘বোলারদের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ক্যাম্পে। ওরা নিজেদের ক্ষমতা জানে এবং স্বাভাবিকভাবে যা হয়, সেটাই করছে। আমার মতে, শেষ সিরিজে এটাই করতে পারেনি। পেসাররা একটু বেশিই বাড়তি কিছু করতে চেয়েছে। ওদের জানতে হবে কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে এবং কিভাবে করতে হবে। যদি ধারাবাহিকতা আনতে পারে, তবে ১০ বারের মধ্যে আটবারই ফল নিজেদের পক্ষে আসবে। আমরা চেষ্টা করছি ওদের ধারাবাহিক বানাতে এবং শান্ত থেকে কোন কিছু করা শেখাতে।’ ত্রিদেশীয় সিরিজ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ কিংবা টি২০ সিরিজ; কোন সিরিজেই পেসারদের বিশেষ পারফর্মেন্স ছিল না। মুস্তাফিজুর রহমানই ছিলেন ভরসা। সেই ভরসার প্রতিদানও তিনি সব ম্যাচে দিতে পারেননি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কৌশলই ওয়ালশ এবার শেখাবেন। তিনি বলেছেন, ‘ধারাবাহিকতার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। গত কিছুদিন যতটা উচিত ছিল, তেমন বল করতে পারেনি। এ ক্যাম্পে সেখানেই দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। সামনে কার কি ভূমিকা থাকবে, এটা বুঝতে হবে ওদের। এ ক্যাম্পে ফাস্ট বোলিং কি, সেটাও শেখানো হচ্ছে। এর জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, সেটা জানানো হচ্ছে।’
×