ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মংলায় ২৫ লাখ টাকা লুটপাটের চেষ্টা ব্যর্থ

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মংলায় ২৫ লাখ টাকা  লুটপাটের  চেষ্টা  ব্যর্থ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ॥ মংলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সাবেক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল পুলিশ। পুলিশের হাতে প্রমাণসহ আটক হয় প্রকল্পের মংলা শাখার সিও অর্চনা গুপ্ত। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় সে। অর্চনা গুপ্তর ৮ মাসের বাচ্চার কথা বিবেচনা করে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করা হলে পুলিশের হেফাজত থেকে সে ছাড়া পায়। তবে সাবেক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করার জন্য মানবিক বিবেচনায় ছাড় পেলেও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এই স্বাক্ষর জালিয়াতির সঙ্গে আরও ৩ জন জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। মংলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের তৎকালীন উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি ২০১৬ সালের ১৪ আগস্টে ৩ মাসের ছুটি শেষে বিদেশ থেকে ফিরে এসে অফিসের টাকা আত্মসাতের বিষয় ধরে ফেলেন। এসময় কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী (সিও) অর্চনা গুপ্তকে হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে অর্চনা গুপ্ত অসুস্থতার কথা বলে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে অর্চনা গুপ্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান কার্যালয়ে লিখিতভাবে অনুরোধ করলে অর্চনা গুপ্ত ৬ সাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে চলে যায়। এরপরে উপজেলা সমন্বয়কারী ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বদলি জনিত কারণে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় চলে যায়। মংলা উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আর্থিক অনিয়মের বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি অডিট টিম গত ১২ ফেব্রুয়ারি মংলাতে তদন্তে আসে। ওই টিমের তদন্তকালে অর্চনা গুপ্ত সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবির স্বাক্ষর কম্পিউটারে স্ক্যান করে বসিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি তার স্বাক্ষর কম্পিউটারে স্ক্যান করে জালিয়াতির বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মংলা থানায় পাঠানো হয়। পরে পুলিশের এসআই গোলাম মোস্তফা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সামনে তাকি কম্পিউটারে অভিযান চালিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির সেই প্রমাণনসহ একটি ল্যাপটপ জব্দ করে। এরপর আটক করা হয় কঃ অঃ কাঃ হিসাব সহকারী অর্চনা গুপ্তকে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে নিজের দোষ স্বীকার করে ৮ মাসের সন্তানের কথা বিবেচনা করে ক্ষমা করে দেয়ার অনুরোধ করে অর্চনা। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি বিবেচনায় এনে থানা হাজত থেকে মুক্ত করেন অর্চনাকে। আটক হওয়া তাকি কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান,অর্চনা গুপ্ত তাকে মিথা কথা বলে সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবির স্বাক্ষর কম্পিউটারে স্ক্যান করে জালিয়াতি করে নিয়েছিলেন।
×