ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যানজটে নাকাল যশোর পৌরবাসী॥ ট্রাফিক ব্যস্ত টোল আদায়ে

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

যানজটে নাকাল যশোর পৌরবাসী॥ ট্রাফিক ব্যস্ত টোল আদায়ে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বেড়েছে ট্রাফিক হয়রানি চাঁদাবাজি ও দুর্ব্যবহার। শহরের ব্যস্ততম সড়কের প্রবেশ মুখে লেগেই থাকে যানজট। অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও নসিমন করিমনে ভরে গেছে শহর। রাতে নিদিষ্ট সময়ের আগে শহরে প্রবেশ করছে ভারি যানবাহন। এসব অবৈধ কর্মকান্ড দেখার কেউ নেই। জানা যায়, যশোর ট্রাফিকে বর্তমানে জনবল রয়েছে প্রায় ৭২ জন। এর মধ্যে পরিদর্শক ৫ জন, সার্জেন্ট ৬ জন, টিএসআই ৫ জন, এটিএসআই ৩ জন ও কনস্টেবল ৫৩ জন। এত লোকবল থাকার পরও যশোর শহরে যানজট লেগেই থাকে। শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও সড়কের প্রবেশমুখে বিশেষ করে শহরের বটতলাস্থ সেন্ট্রাল রোডের প্রবেশ মুখে, জেনারেল হাসপাতালের সামনে, চিত্রা মোড়, মুজিব সড়কের প্রবেশমুখে, সিভিলকোর্ট মোড়ে, শহরের চৌরাস্তা মোড়ে কোতোয়ালি মডেল থানার সামনে, শহরের মনিহার এলাকায় যত্রতত্রভাবে রাস্তার ওপর বেআইনীভাবে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকে। এসব অবৈধ ইজিবাইকের কারণে প্রতিনিয়তই শহরে যানজট লেগে থাকছে। আরও ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান। মুমূর্ষু রোগীদের এ পথ দিয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু রাস্তার উপর অবৈধ ইজিবাইকের বেআইনী অবস্থানের কারণে রোগী হাসপাতালে নেয়াতো দূরের কথা এ রাস্তা দিয়ে চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে। আর এসব কিছুই ঘটছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সামনে। অথচ তারা দেখেও না দেখার ভান করে দাঁড়িয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে শহরে চলাচলকারী অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, নসিমন, করিমনের চালকদের কাছ থেকে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ টোল আদায়ে ব্যস্ত থাকে। যে কারণে তারা যানজট নিরসনের সময় পান না।ট্রাফিক সার্জেন্টরা থাকেন বছরে মামলার টার্গেট পূরণে ব্যস্ত। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতিনিয়তই মোটরসাইকেল চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, ওভার লোডিং বা ভিন্ন ধারায় মামলা দেয়া হয়। এসব মামলা নিয়ে ট্রাফিক অফিসে গেলে কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হতে হয় মোটরসাইকেল চালকদের। কম টাকা জরিমানার কথা বললে যত রকমের দুর্ব্যবহার আছে তার স্বীকার হতে আর বাকি থাকে না মোটরসাইকেল চালকের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের অন্য জেলা গুলোতে যেমন নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহরেপুর ও কুষ্টিয়ায় যানবাহন বা মোটরসাইকেলের মামলার জরিমানার টাকা চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। অথচ যশোর জেলায় এ রকম কোন নিয়ম মানা হয় না। মামলার জরিমানার টাকা ট্রাফিক অফিসে জমা দিতে হয়। অথচ জরিমানার টাকা জমা দেয়ার কোন রশিদ বা চালানের কপি যানবাহন মালিক বা চালকদের দেয়া হয় না। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন অফিসার জানান, জরিমানার টাকা জমা দেয়ার রশিদ জমাদানকারীকে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। যদি কেউ না দেয় সেটার ভেতর অবশ্যই অনিয়ম বা ঘাপলা আছে।
×