ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন

‘সুপার এজার’ বা দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল দীর্ঘদিনের। কিভাবে কিছু মানুষ ৮০ পেরোনোর পরও স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন করে তা জানার আগ্রহ বিজ্ঞানীদের এ নিয়ে গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সম্প্রতি তারা এ বিষয়ে কিছু সূত্র আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন দীর্ঘায়ু হওয়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের দক্ষতা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। গার্ডিয়ান। কিছুকাল আগেও মনে করা হতো বয়স বাড়ার সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতার সম্পর্ক রয়েছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিলি রোজালস্কি বলছিলেন, ‘যেসব বৈশিষ্ট্য মানুষকে দীর্ঘায়ু হতে সহায়তা করে আমরা তার কারণ জানার চেষ্টা করেছি।’ গবেষকরা এতকাল বলে এসেছেন দীর্ঘায়ু লোকেরা দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কম মাথা ঘামায়, বহির্মুখী স্বভাবের ও স্থিতধী ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে রোজালস্কি বলছেন, তারা ১০ জন আশি উর্ধ মৃত ব্যক্তির মস্তিষ্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাতে ভন ইকোনোমো নিউরন নামে বিশেষ কোষ বেশি মাত্রায় পেয়েছেন। অন্যান্য বয়স্ক লোকদের তুলনায় সুপার এজারদের মাথায় এই কোষ বেশি পরিমাণে থাকে। উন্নত স্তন্যপায়ী প্রাণীর মস্তিষ্কে ভন ইকোনোমো কোষ থাকে। ধারণা করা হয় এটি যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের যে অংশটি কাজ করার সময় স্মৃতি ধারণ করে ওই অংশে কোষগুলো পাওয়া গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় জায়গাটির নাম এ্যান্টেরিয়র সিঙ্গুলেট। রোজালস্কি জানাচ্ছেন, সাধারণত যারা ৫০-৬০ বছর বয়সীদের তুলনায় অশীতিপরদের মস্তিষ্কের এ জায়গাটি বেশ ঘন থাকে। এমনকি ২০ এর কোঠায় যাদের বয়স তাদের অনেকের চেয়েও সুপারএজারদের ভি ই নিউরন বেশি থাকে। এই নিউরন শেষ পর্যন্ত কি হয় এবং দীর্ঘায়ু হওয়ার সঙ্গে এর সম্পর্কটি আসলে কি সে বিষয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন। মস্তিষ্কের দুটো জায়গায় তারা এই নিউরনের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন।
×