ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেবাচিমের সেই ২১৫ জন কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি পেলেন

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শেবাচিমের সেই ২১৫ জন কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি পেলেন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দীর্ঘ দুই বছর পর অবশেষে কাজে যোগদানের অনুমতি পেলেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২১৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ এবিএম মুজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে যোগদানের জন্য হাসপাতাল পরিচালককে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আজ শনিবার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল জলিল হাতে করে অধিদপ্তরের আদেশটি বরিশালে নিয়ে আসবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন নির্দেশনার কপি বরিশালে ই-মেইল বার্তায় প্রেরণের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্বস্তি মিলেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পরিজনদের মাঝে। সূত্রমতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত এইচএস/এলএ-৪৩/১৬/৮৫৬ স্মারকে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয়ের গত ১৮ জানুয়ারি ৬০ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে ২১৫জন কর্মচারীর নিয়োগপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৩৬৩/১৬ নম্বর রিট মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট আবেদনকারীগণের পক্ষে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের আপিল মামলা দায়ের করা হলে গত বছরের ৪ অক্টোবর মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল ডিসমিস করেন। ফলে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে রায়টি বিধিমতে বাস্তবায়নের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শের-ই বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজে হাসপাতালের পরিচালকে অনুরোধ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১ থেকে ১২ ডিসেম্বর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করেন। দীর্ঘদিন শুন্য থাকা হাসপাতালের কর্মচারী পদে নতুন কর্মচারী যোগদান করায় হাসপাতালের সেবার মানবৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঠিক সেই মুহুর্তে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পার-২ এর উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে যোগদান করা কর্মচারীদের কার্যক্রম ও বেতন-ভাতা না প্রদানের স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে কর্মচারীরা ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী উচ্চাদালতের জজট্রিজ সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হুসাইন ও জজট্রিজ একেএম শহিদুল হকের বেঞ্চে রিট দাখিল করলে আদালত ওই আদেশটি স্থগিতসহ কর্মচারীদের কাজে যোগদান ও বেতন-ভাতাদী প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আইনজীবী হরিদাস পাল ওই আদেশটি বাতিল চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করলে বিজ্ঞ আদালত হাইকোর্টের আট নম্বর বেঞ্চে শুনানীর জন্য প্রেরণ করেন। সেখানে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ফের কর্মচারীদের পক্ষে রায় প্রদান করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ফের সরকার আপিল করলে তাও খারিজ করে দেয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ছয় ফেব্রুয়ারী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব আব্দুল ওহাব খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি প্রেরণ করেন। ওই চিঠি পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালককে কর্মচারীদের পক্ষে রায়ের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
×