ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাল থেকে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কাল থেকে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘মাছে ভাতে বাঙালী’ প্রবাদটির গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য আবার পুনরুদ্ধার হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেই সঙ্গে দিন দিন মাছের উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য দেন মৎস্যমন্ত্রী। এ সময় মাছের উৎপাদন নিয়ে বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪১.৩৪ লাখ মেট্রিক টন, যার প্রায় ১২ শতাংশই হলো ইলিশ। মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বে উপস্থাপিত হবে ইলিশের দেশ হিসেবে। তাই ইলিশ সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেও মন্ত্রী জানান। ‘জাটকা ধরে করবো না শেষ, বাঁচবে জেলে হাসবে দেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। ইলিশের অবদান নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশের জিডিপিতে ইলিশ মাছের অবদান ১ শতাংশ। প্রায় ২৫ লাখ লোক ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও ইলিশ মাছকে সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর ভৌগলিক নিবন্ধন প্রদান করেছে। বাংলাদেশ ইলিশ শীর্ষক ভৌগলিক নিবন্ধন সনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে এবার নিজস্ব পরিচয় নিয়ে বিশ্ববাজারে হাজির হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারই সর্বপ্রথম মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং বিগত দুই বছরে মোট ১৪ হাজার ৮২৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করে। এছাড়াও জাটকা সংরক্ষণে বর্তমান সরকার বিগত নয় বছরে মোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে, যা বিগত ২০০৪-০৫ হতে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত চার বছরে বিতরণ করা হয়েছিল মাত্র ৬ হাজার ৯০৬ মেট্রিক টন চাল। ইলিশ সম্পদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে জাটকা আহরণের নিষিদ্ধ সময় নবেম্বর হতে জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং জাটকার দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার করা হয়েছে।
×