মার্চে আবার ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচী শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী মাস থেকে ফের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচী শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচীর আওতায় অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। সেপ্টেম্বর থেকে নবেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস ১০ টাকা কেজিতে চাল পান দরিদ্ররা। খাদ্য অধিদফতরে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নবেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছি। চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম আবার শুরু হবে এবং ভবিষ্যতেও তা চলবে। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মসূচী শুরুর পর বিত্তবানদের নামে ১০ টাকা চালের কার্ড বিতরণের অভিযোগের পাশাপাশি নানা অনিয়মে কয়েকজনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচীতে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। মন্ত্রী কামরুল বলেন, চাল বিতরণ কার্যক্রমে কোন ধরনের অসদুপায় বা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে বছরে সাড়ে সাত হাজার মেট্রিক টন চাল লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারী গুদামে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার টন চাল এবং তিন লাখ ৮০ টন গম। এ সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ হয়ে যাবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে, বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। ২০১৭ সালে হাওড় অঞ্চলে হঠাৎ অতিবন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার কথা থাকলেও সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম মাত্র আড়াই লাখ টন। তখন সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ এক লাখ ৩০ হাজার টনে নেমে এসেছিল। চালের একটি চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। কৃষকদের কথা বিবেচনায় রেখে চালের কেজি ৪০ টাকার নিচে হওয়া উচিত নয় বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনান খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্য সচিব শাহবুদ্দিন আহমদ, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান ছাড়াও খাদ্য অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।