ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার আপীলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি আজ

প্রকাশিত: ০৭:৫৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

খালেদার আপীলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের দ-ের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার আপীলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আজই জানা যাবে এই আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হবে কি না । বুধবার সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজকের কার্যতালিকায় খালেদা জিয়ার আপীল ৬ নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপীলের শুনানিতে বিরোধিতা করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেছেন, আমরা আপীলে মোকাবেলা করব। সর্বাত্মকভাবে আমরা প্রস্তুত। আদালতের নির্দেশের পরও দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে আমরা ওদের কোন কপি এখন পর্যন্ত পাইনি। এর আগে ৬০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনের সঙ্গে ১২২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয়া হয়েছে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে সেখানে। মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপীল করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে আপীল উপস্থাপন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরও চারজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। একই তারেক রহমানসহ সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার কার্টিজ পেপার আদালতে জমা দেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। মাত্র ১২ দিনের মাথায় সোমবার রায়ের ১১৭৪ পৃষ্ঠার সত্যায়িত অনুলিপি পান খালেদার আইনজীবী। ওই পূর্ণাঙ্গ রায়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং অর্থ আত্মসাতের কথা তুলে ধরা হযেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে ,সরকারী এতিম তহবিলের টাকা এতিমদের কল্যাণে ব্যয় না করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাত করে খালেদা জিয়াসহ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামিরা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ করেছেন । রায়ে বলা হয় ‘এ ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মামলার ছয়জন আসামির প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে লাভবান হয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।’ অর্থনৈতিক দুর্নীতি রাষ্ট্রের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করে এবং এর বাজে প্রভাব সমাজের প্রতিটি স্তরে সংক্রমিত হয় বলে উল্লেখ করেছেন । ‘মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এতিম তহবিলের ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৩৪ টাকা আত্মসাত করেছেন। পরিমাণের দিক থেকে এর বর্তমান মূল্য অধিক না হলেও ঘটনার সময়ে ওই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট নামে কোন এতিম খানার অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। সেখানে কোন এতিম বসবাস করে না। এতিমখানার কোন দালান-কোঠা বা স্থাপনা নেই। ফলে আসামিদের কোন যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রের যুক্তি গ্রহণযোগ্য।’
×