ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরকীয়ার জেরে নেত্রকোনায় গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পরকীয়ার জেরে নেত্রকোনায় গৃহবধূকে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা. ২১ ফেব্রুয়ারি ॥ কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের উত্তর রানীগাঁও-নয়াপাড়া গ্রামে মমতাজ বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ। নিহত মমতাজ বেগম ওই গ্রামের শহীদ মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার (মমতাজের) বোন রোমেলা আক্তারকে আটক করেছে। জানা গেছে, উত্তর রানীগাঁও-নয়াপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের জনৈক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। বুধবার সকালে গ্রামের লোকজন বাড়ির পাশে পুকুরে তার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের গলা ও পেটসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পরপরই শহীদ মিয়া আত্মগোপন করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পরকীয়ার জের ধরে শহীদ মিয়া মঙ্গলবার রাতে মমতাজ বেগমকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। কলমাকান্দা থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান জানান, গৃহবধূর বোন রোমেলা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তায় অমর একুশে পালন জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ কড়া নজরদারিতে উদ্বেগহীনতার মধ্যে পালিত হলো শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মানুষের মধ্যে কোন প্রকার আতঙ্কই ছিল না। অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এবারের নিরাপত্তা ছিল কঠোর। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে সব অনুষ্ঠানে ঢল নেমেছিল মানুষের। যেন বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো ছুটে এসেছিল নানা বয়সের মানুষ। নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আশপাশের রাস্তা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকেই বুধবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এতে মানুষের সামান্য অসুবিধা হলেও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায়, মানুষজন রীতিমত স্বস্তি বোধ করেছেন। তারা মনের আনন্দে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অদূরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বন্দী থাকায় মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছিল। শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে হাজার হাজার নেতাকর্মী বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করছিল।
×