ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আরও এক ধাপ ॥ অগ্রগতির পথে-

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আরও এক ধাপ ॥ অগ্রগতির পথে-

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ শীঘ্রই উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে; উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য যত শর্ত রয়েছে, তার সবই বাংলাদেশ পূর্ণ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থানটাকে উন্নত করতে পারব, সেই পর্যায়ে আমরা এসে গেছি, সেই ঘোষণা আপনারা (দেশবাসী) শীঘ্রই পাবেন, ইনশা আল্লাহ! বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সেগুনবাগিচায় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কর্তৃক গৃহীত চার দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আদায়ে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের সঙ্গে তো নিম্ন শব্দটি থাকতে পারে না। আমাদের এখন একটি সুযোগ এসে গেছে। যে কয়টি ক্যাটাগরিতে অর্জন থাকলে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেতে পারি, তার প্রতিটি শর্তই বাংলাদেশ এখন পূর্ণ করেছে। কাজেই আমাদের মর্যাদাটা আরও একধাপ উপরে এগিয়ে নিতে পারব। শ্রীলঙ্কায় এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের কিছু কিছু চিত্র দেখেছি। এজন্য সত্যিই আমরা আনন্দিত। জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত সব দেশে যেন এই দিবসটি পালিত হয়, আমরা এর জন্য তথ্য সব জায়গায় পাঠিয়েছি। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকেও প্রতিবছর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত। তাহলে সবাই বিষয়টি জানতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য বিরাট গর্বের। কাজেই এই ভাষার ব্যবহার ও চর্চা ভুলে গেলে চলবে না। বাঙালী হিসেবে সব ঐতিহ্য আমাদের ধারণ করতে হবে, চর্চা করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শ্রীলঙ্কার জাতীয় দাফতরিক ভাষা বিষয়ক সচিব ডব্লিউএমপিজি উইক্রমাসিংহে। আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী ও ঢাকার ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বি খালদুন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জিনাত ইমতিয়াজ আলী। সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্য, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলা ভাষার ওপর পাকিস্তানের বারংবার আক্রমণের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা নিয়ে আমাদের অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। এক সময় আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হলো বাংলা অক্ষরে বাংলা ভাষা লেখা যাবে না, আরবী হরফে বাংলা ভাষা লিখতে হবে। এরপরে রোমান হরফে বাংলা ভাষা লিখতে হবে। বাঙালী জাতি এর প্রতিবাদ করে। এর পরে বলা হলো রবীন্দ্রনাথ পড়া যাবে না। হিন্দুর লেখা পড়লে নাকি আমাদের মুসলমানিত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য রবীন্দ্রনাথের লেখা নিষিদ্ধ করা হলো। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম যে সমস্ত লেখা লিখেছেন তাকে মুসলমানি ভাষা দেয়া হলো। তাঁর ‘মহাশ্মশান’ পরিবর্তন করে লেখা হলো ‘গোরস্থান’। ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি’- এই কবিতা পরিবর্তন করে করা হলো- ‘ফজরে উঠিয়া আমি দিলে দিলে বলি’ করা হলো। ছাত্র জীবনে আমাদের কত ধরনের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তা বুঝতেই পারছেন। তিনি বলেন, আমি বাংলা বিভাগের ছাত্রী ছিলাম। আমাদের বিভাগের প্রধান ছিলেন হাই সাহেব। তখন এখানকার গবর্নর ছিলেন মোনায়েম খান। রবীন্দ্রনাথ পড়া নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে প্রতিবাদ শুরু হলো। বিরক্ত হয়ে মোনায়েম খান হাই সাহেবকে ডেকে বললেন- আপনারা শুধুই রবীন্দ্র সঙ্গীত রবীন্দ্র সঙ্গীত করেন কেন? আপনারা কী দুই চারটা রবীন্দ্র সঙ্গীত নিজেরা লিখে ফেলতে পারেন না? জবাবে হাই সাহেব বিনয়ের সঙ্গে বলেছিলেন- ‘স্যার, আমি লিখতে পারি। তবে আমি লিখলে তো সেটা রবীন্দ্র সঙ্গীত হবে না, সেটা হাই সঙ্গীত হয়ে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করছি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছি। রক্তের অক্ষরে আমরা মাতৃভাষার মর্যাদাকে রক্ষা করেছি। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের। কাজেই এই ভাষার চর্চা ও ভাষার ব্যবহারের কথা আমাদের ভুললে চলবে না। বাঙালী হিসেবে আমাদের ঐতিহ্য সব ধরে রাখতে হবে, চর্চা করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ প্রদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি প্রতিবারই জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে থাকি। একুশ আমাদের শেখায় মাথা নত না করা। একুশের পথ ধরেই কিন্তু আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কারণ, একুশে ফেব্রুয়ারি বুকের রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় তাদের সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর আঘাত করা হয়। সেই ষড়যন্ত্রটাই পাকিস্তানী শাসকরা করেছিল। আর যার ফলে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি, একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য: জাতির পিতা যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে উঠবে, বাঙালী জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে মর্যাদার সঙ্গে চলবে। বাংলাদেশ হবে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে উন্নত, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। আমরা তা গড়ে তুলতে পারব, ইনশা আল্লাহ! কারণ, আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছি। আজকে আমরা সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ের তোলার পর আমরা নি¤œ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলাম। এখন সবদিক থেকে আমাদের একটা সুযোগ এসে গেছে। আমরা প্রবৃদ্ধি ও মাথা পিছু আয় অর্জন করেছি। যে কয় ক্যাটাগরিতে অর্জন থাকলে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেতে পারি, তার প্রতিটি শর্তই কিন্তু বাংলাদেশ এখন পূর্ণ করেছে। তাই এখন আমাদের দেশকে মর্যাদায় আরও একধাপ উপরে নিয়ে যেতে পারব। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ বলা হয়েছে। কিন্তু আমি সব সময় মনে করি, যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে সেই জাতির সঙ্গে ‘নি¤œ’ শব্দটি থাকতে পারে না। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত হিসেবে আমরা গড়ে তুলব। আজকে আমরা আর নি¤œ আয়ের দেশ না, আমাদের এই অঞ্চলের সব দেশই কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ। কাজেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা নিজের অবস্থানটা উন্নত করতে পারব। সেই পর্যায়ে আমরা এখন এসে গেছি। সেই ঘোষণা অচিরেই দেশবাসী পাবেন, ইনশা আল্লাহ! ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালী জাতির দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের ৫৬ ভাগ জনগোষ্ঠী বাঙালী হলেও আমাদের বাংলা ভাষার কোন অধিকার ছিল না। ’৪৮ সালে করাচীতে যখন উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয় তখন বাঙালী জাতি প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন, রাষ্ট্রভাষা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন। এ কারণে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। সারাদেশে বাঙালী জাতি ফুঁসে ওঠে। তিনি বলেন, ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কারাগারে বসেও অনশন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বঙ্গবন্ধুকে হানাদাররা মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বিজয়ী হলে ক্ষমতায় যাওয়ার পর পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচনা করা হয়। সেই শাসনতন্ত্রে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রীয়ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। শুধু বাংলাকে স্বীকৃতিই নয়, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস এবং সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। শহীদ মিনার নির্মাণের নক্সাও প্রণয়ন করা হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ওই সময় ক্ষমতায় না এলে কোনদিনই বাংলা রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেত না। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার ইতিহাস তুলে ধরে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে বাংলা ভাষার চর্চা ও উৎকর্ষ সাধনে কাজ শুরু করে। তখন রফিক ও সালাম নামে কানাডায় বসবাসরত দুই প্রবাসী বাঙালী ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জাতিসংঘে আবেদন করেন। তখন তাঁদের বলা হয়, কোন সদস্যরাষ্ট্র যদি এ আবেদন করে তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমাকে এটা জানালে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নেই এবং জাতিসংঘে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রস্তাব দেই। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর সারা বিশ্বের মাতৃভাষা সংরক্ষণ, গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য এখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে আসার পর অন্যান্য প্রকল্পের মতো এই ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজও বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে এই ইনস্টিটিউট নির্মাণ ও উদ্বোধন করি। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আইন জাতীয় সংসদে পাস করি। বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা এটার নির্মাণ কাজ বন্ধ না করলে আমরা ক্ষমতায় এসে এটি নির্মাণ ও উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হতো না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ক্যাটাগরি-২ তে উন্নীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এ সময় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদও জানান। বাংলাকে দাফতরিক ভাষার স্বীকৃতি দিন- জাতিসংঘকে কাদের ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের কাছে আজকে আমাদের একটাই দাবি বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি ভাষাভাষী বাঙালী জাতির ভাষা বাংলাকে দাফতরিক ভাষার মর্যাদা প্রদান করুন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা বাঙালী জাতির পক্ষ থেকে। বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলা ভাষা আজকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বাংলা ভাষা বিশ্বস্বীকৃত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারির মর্যাদা প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে শহীদদের আত্মবলিদান সার্থক হয়েছে। একুশ এবং একাত্তর একই চেতনার ওপর প্রতিষ্ঠিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২১ এবং ৭১ এর চেতনায় আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।
×