ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসন খাতে ঋণ বাড়াতে নীতিমালার সংস্কার

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আবাসন খাতে ঋণ বাড়াতে নীতিমালার সংস্কার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আবাসন খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নীতিমালার সংস্কার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবাসন খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে এখন থেকে ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ প্রভিশন রাখা যাবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবাসন খাতে ঋণ ভোক্তাঋণ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক, কোন ব্যাংক তার মোট ঋণের ১০ শতাংশের বেশি আবাসন খাতে বিতরণ করতে পারবে না। এ খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণের ২ শতাংশ বর্তমানে প্রভিশন রাখতে হয়। কিন্তু এই হার পরিবর্তন করে অর্ধেক করা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন নিয়ম মোতাবেক, আবাসন খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণের এক শতাংশ প্রভিশন রাখা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সুদ হার বেড়েছে। এতে ঋণপ্রবাহ কিছুটা কমে যেতে পারে। কারণ উচ্চ সুদে ঋণ নিতে চাইবেন না অনেকে। আবার নির্বাচনের বছর শুরু হয়ে গেছে। ফলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অনেক উদ্যোক্তা নতুন করে বিনিয়োগে আসবেন না। যার প্রভাব পড়বে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক সূচকে। ব্যাংকগুলো যদি আমানত এনে বিনিয়োগ করতে না পারে তবে তাদের মুনাফা কমে যাবে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় করে, বাংলাদেশ ব্যাংক আবাসন খাতকে এ বছর গুরুত্ব দিতে চায়। ব্যাংকগুলো যাতে আবাসনে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে তার জন্য তার প্রভিশন সংরক্ষণ নীতিমালাটি সংস্কার করা হচ্ছে। এতে এই খাত যেমন চাঙ্গা হবে তেমনি এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য খাতগুলো আরও গতিশীল হবে। আবাসন খাতের সঙ্কট কাটাতে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা এক অঙ্ক সুদে এই ঋণ চান।
×