ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর কৌশলগত অংশীদার হিসেবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির খসড়ার আইনগত দিক পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে বিএসইসি। শেয়ার কেনাবেচার দরপ্রস্তাবের চেয়ে চুক্তির বিভিন্ন দিক মূল্যায়নে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ এক কর্মকর্তা। বিভিন্ন মহলের চাপ ও নানা বিতর্কের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ গত সোমবার চীনের সাংহাই ও সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের কনসর্টিয়ামকে কৌশলগত অংশীদার করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে প্রস্তাব পাঠাতে ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী রবিবার এ প্রস্তাব কমিশনের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ডিএসইর প্রস্তাব এবং চীনা স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির জোটের সঙ্গে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনের সঙ্গে এর কোথাও ব্যত্যয় আছে কি-না তা সুপ্রীমকোর্র্টে আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব উল ইসলামকে দিয়ে যাচাই-বাছাই করে নিয়েছে ডিএসই। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ওই কর্মকর্তা জানান, ডিএসইর পক্ষ থেকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্বাচনের যুক্তি তুলে ধরে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচিত কৌশলগত অংশীদারির সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির খসড়াও আগে জমা দিতে হবে। ওই খসড়ার ভিত্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, চুক্তির খসড়া অনুমোদন হওয়ার পর তা কার্যকরে অন্তত এক বছর সময় লাগবে। চুক্তিতে এটিও উল্লেখ থাকতে হবে। এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ডিএসইর পর্ষদ সিদ্ধান্তের পক্ষে সরকারের শীর্ষমহল থেকে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছে। প্রভাবশালী এক ব্রোকার বলেন, সরকারের দোহাই দিয়ে কৌশলগত অংশীদার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ায় সব ধরনের বিতর্কের অবসান হবে বলে দাবি করেন তিনি।
×