ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জুবায়ের হোসেন

অপারেটরদের কাছে চাই পেশাদারিত্ব

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অপারেটরদের কাছে চাই পেশাদারিত্ব

আক্ষরিক অর্থে ফোর-জি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি। এর আগের প্রজন্মের প্রযুক্তি ছিল টু-জি এবং থ্রি-জি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই ফোর-জি সেবা চালু আছে। বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকা মিয়ানমারেও বহু আগে ফোর-জি সেবা চালু হয়েছে। বাংলাদেশ সে হিসেবে এটি বেশ পরেই এল। বিশ্বে ফোর-জি প্রযুক্তি গড় গতি ১৪ দশমিক ৬ এমবিপিএস। ভারতে গড় গতি বর্তমানে ৬ দশমিক ১৩ এমবিপিএস। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড দেশে ফোর-জির গতি ৯ থেকে ১৪ এমবিপিএস। ফোর-জি গতিতে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুই দেশ হচ্ছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন অপারেটররা যেখানে থ্রি-জি সেবা ঠিকমতো দিতে পারছে না, সেখানে এই নতুন সেবা কতটা দিতে পারবে এ বিষয়ে অনেকেই সন্দিহান। সাধারণভাবে থ্রি-জির সেবাগুলো সাশ্রয়ী হওয়ার কথা ছিল। এতদিন অপারেটররা যে সেবা দিয়ে আসছে তা যথেষ্ট সাশ্রয়ী নয়। ফোর-জি বেলায় কি অবাস্থা হবে? অপারটের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেয়া, নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্নতা, নিম্নমানের ভয়েস সেবা, কল ড্রপ ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেয়ার অভিযোগগুলো বেশি। ফোর-জি মানসম্মত সেবা ও সুলভ সাশ্রয়ী রেট নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় বিটিআরসি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করবে এমনই প্রত্যাশা করছি। অপারেটরদের কাছে চাই পেশাদারিত্ব এবং শতভাগ সততা। ফোর-জি পুরো সুবিধা ভোগ করতে গেলে যে ধরনের অবকাঠামো এবং মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট থাকা দরকার, তার ঘাটতি আছে বাংলাদেশে। দেশে ৩০% মানুষের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে, যার মধ্যে ১০% থ্রি-জি উপযোগী। ফোর-জি হ্যান্ডসেটের চাহিদা তৈরিতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। ফোর-জি সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও আউটসোর্সিংয়ের কাজ করার সুবিধা তৈরি হবে, বাড়বে কাজের ক্ষেত্র। অনলাইন সেবা বেড়ে যাবে এবং ই-কমার্সের প্রসার ঘটবে। বাংলাদেশে ফোর-জি নামে মাত্র চালুই যথেষ্ট হবে না, এই সেবা ঠিকঠাক মতো এবং সুলভে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে
×