ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাশরাফিকে টি২০তে ফেরাতে চায় বিসিবি

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মাশরাফিকে টি২০তে ফেরাতে চায় বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০তে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অধিনায়ক রাখা হবে না। তাকে এ পদ থেকে সরে যেতে হবে। কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে কোচ থাকার সময় যখনই এমন আলোচনা উঠেছে তখনই মাশরাফি টি২০ থেকেই অবসর নিয়ে নেন। গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ শেষেই টি২০ থেকে অবসর নেন মাশরাফি। সামনে সেই শ্রীলঙ্কাতেই আরেকটি টি২০ সিরিজ হবে। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস পূর্তি উপলক্ষে নিদাহাস টি২০ ট্রফি হবে। যেখানে ভারত, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়েই মাশরাফির আবার টি২০তে ফেরা হতে পারে। মাশরাফিকে যে টি২০তে ফেরাতে চায় বিসিবি। এখন বিসিবির অনুরোধে মাশরাফি সাড়া দিলেই হয়। মাশরাফিকে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে বিসিবি। মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা মাশরাফির ওপর বেশি নির্ভর করে। আমাকে সবাই বলেছে, আপনি বললে খেলবে। আমি এই সিরিজেই খেলার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে বলেছে, টি২০ না, টেস্ট খেলতে চায়। নতুন বলে এখনও মাশরাফি সেরা। চেষ্টা চলছে মাশরাফিকে ফেরানোর। দেখা যাক কি হয়।’ নির্বাচকদের নিয়ে বসেন। অধিনায়করাও সেখানে ছিলেন। পাপন এ বিষয়ে জানান, ‘আপনারা জানেন, গত পরশুদিন রাতে এসেছি (বিদেশ থেকে) সন্ধ্যায়। পরশু খেলা শেষ হয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই এখন ঐ সময়টা (সিরিজের) শেষ। আপনারা জানেন যে, এই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে আমি ওদের সঙ্গে (টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়করা) বসেছিলাম। তখন ওরা সবাই অনুরোধ করেছিল, বলেছিল যে এই সিরিজে কোন কোচ দরকার নেই। নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। অনেক আত্মবিশ্বাসীও। আরও ভাল খেলবে। তখন সবার কথা শুনে আমি সম্মতি দিয়েছিলাম। এবার ওরাই খেলবে। ঐ সময়টা শেষ। এখন আবার আগের মতো আসতেই হবে। আমি এসে কালকে (সোমবার) বসেছিলাম। আমি বসতে চেয়েছিলাম অনেকের সঙ্গেই। কয়েকজন আবার চলেও গেছে। শুনলাম কয়েকজন দেশেই নেই। যারা যারা ছিল, এর মধ্যে সাইমন হেলমেটকে ডেকেছিলাম কালকে (সোমবার)। আজকে (মঙ্গলবার) কোর্টনি ওয়ালস ছিল। তাকে ডেকেছি। খালেদ মাহমুদ সুজনকে ডাকা হয়েছে। দুই নির্বাচক এসেছে। সামনে যেহেতু আমাদের নিদাহাস কাপ (ট্রফি) আছে। কি করা যায়, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য সাকিবকেও রাখা হয়। কয়েকটা কারণে, একটা হল; ওদের কাছ থেকে শোনার চেষ্টা করেছি, কি হয়েছে। যদিও দেশে ছিলাম না। ফাইনাল (ত্রিদেশীয় সিরিজ) দেখেছি আমি। ফাইনাল দেখে মনটা বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমাদের দেশে আমরা ২২০ রান করতে পারব না শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এটা মানিয়ে নেয়া খুবই কষ্ট হচ্ছিল। যাই হোক, ওদের কাছ থেকে শোনার চেষ্টা করেছি, সমস্যাটা কোথায়। কিছু তথ্য পেয়েছি। যা জানতাম। খবর তো ঠিকই নিতাম। বুঝতে তো পারি, কি হচ্ছে না হচ্ছে। সবই জানা। সামনে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জিং সফর আছে। সময় খুব কম। সে জন্য কি করা যায়, কি করণীয়; ওদের কি মতামত, এসব ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ২৪ বা ২৮ তারিখের দিকে একটা ক্যাম্প ডাকা হবে। তিনদিন বা চারদিনের ক্যাম্প। কিন্তু এটা সন্তুষ্টিকর নয়। আমরা শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলতে যাচ্ছি। নিজ দেশে যা খেলেছি। তারচেয়েও কঠিন সফর হওয়ার কথা। দ্বিতীয়ত, ভারতের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। অসাধারণ ফর্মে আছে ভারত। একটি শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি, এ রকম গাঁ ছাড়াভাবে হবে না। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সেজন্য এরই মধ্যে কোর্টনি ওয়ালসকে বলে দিয়েছি, ১৪ জন পেসারকে নিয়ে দ্রুতই ক্যাম্প ডাকতে। প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে তারা। যারা খেলছে তাদেরও এবং কয়েকজন ব্যাটসম্যান, যাদের আমরা চাচ্ছি, তাদের পারফর্মেন্স আরও উন্নতি করা। একটু পরখ করে নেয়ার জন্য। ১৯ জনকে নিয়ে (ব্যাটসম্যান ৫ জন) পরশু (বৃহস্পতিবার) থেকেই ক্যাম্প চালু করছে। যে খেলোয়াড়ের যেদিন খেলা থাকবে। সেদিন ছেড়ে দেবে। খেলতে পারবে ক্লাবে গিয়ে। ক্লাবের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই ক্যাম্পটা। কারণ সিরিজে আমাদের ফাস্ট বোলিং একটু হতাশাজনকই ছিল। ব্যাটিংয়েও স্বস্তি ছিল না। মনে হয়নি, স্বাচ্ছন্দ্যে কেউ খেলছে, টি২০তে বিশেষ করে। এ জন্য আমরা ঠিক করেছি, সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ২২ তারিখ থেকেই আমরা ক্যাম্প চালু করছি।’
×