ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ৪জি সেবা চালু করল গ্রামীণফোন

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চট্টগ্রামে ৪জি সেবা চালু করল গ্রামীণফোন

গ্রামীণফোন মঙ্গলবার সেরা সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ৪জি সেবা চালু করেছে। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শাহেদ কোম্পানির হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম এবং চট্টগ্রামের সার্কেল প্রধান শাওন আজাদকে নিয়ে ৪জি সেবা চালু করা হয়। গ্রামীণফোনের ৪জি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একই সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামে চালু করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রামের দামপাড়া, খুলশী এবং নাসিরাবাদে ৪জি সেবা চালু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের আরও এলাকা ৪জির আওতায় আসবে। বেশির ভাগ বিভাগীয় শহরে অচিরেই চালু হবে ৪জি। প্রতিষ্ঠানটি ৩জির ক্ষেত্রে যেমন করেছিল এবারও একই রকম দ্রুতগতিতে ৪জি বিস্তার করবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই সব জেলা শহরে পৌঁছে যাবে ৪জি। ৪জি সেবা চালু করার সময় কাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘গ্রামীণফোন চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য সেরা সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ৪জির ক্ষেত্রেও এর কোন ব্যতিক্রম হবে না। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রাম আমাদের ৪জি বিস্তার পরিকল্পনায় যথাযথ স্থান পাবে।’ এছাড়াও মাইকেল বাংলাদেশে ৪জি বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করায় বাংলাদেশ সরকার, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসিকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে গ্রামীণফোনকে ৪জি পরিচালনার লাইসেন্স দেয়া হয়। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ১৮০০ ব্যান্ড ৫ মেগাহার্জ বেতার তরঙ্গ কেনার ফলে ৪জি/এলটিই বিস্তারের জন্য সবচেয়ে কাক্সিক্ষত ব্যান্ডে সর্বাধিক স্পেকট্রাম হাতে পেয়েছে। এই নতুন স্পেকট্রাম এবং বিদ্যমান স্পেকট্রামে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা গ্রামীণফোনকে সেরা ৪জি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার ফলে গ্রামীণফোন তার ৯০০, ১৮০০ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের স্পেকট্রামে আরও দক্ষতার সঙ্গে ভয়েস ও ডাটা সেবা দিতে পারবে। ৪জি বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নের ফলে গ্রাহকরা এইচডি ভিডিও, লাইভ টিভি স্ট্রিমিং, ঝকঝকে ভিডিও কল আর দ্রুতগতির ডাউনলোড উপভোগ করতে পারবেন। শাহেদ আরও বলেন, ‘৪জি ডিজিটাল বাংলাদেশ’র বাস্তবায়নকে আরও এগিয়ে দেবে এবং চট্টগ্রামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরও ডিজিটালাইজড হয়ে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে।’ গ্রামীণফোন বাংলাদেশে তার গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনধারাকে এগিয়ে নিতে একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে। -বিজ্ঞপ্তি
×