ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬ চৈত্র ১৪৩০

চবিতে ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ ॥ ১১ যান ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চবিতে ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ ॥ ১১ যান ভাংচুর

চবি সংবাদদাতা ॥ সোমবার রাতে তিনটি হলে অভিযান ও ১০ কর্মীকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিডিয়া কর্মীদের গাড়িসহ ক্যাম্পাসের ১০টি যানবাহন ভাংচুর হয়েছে। শাটল ট্রেনের হুজ পাইপ কেটে দেয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছাত্রলীগের একাংশ এ ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে। সোমবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের পর রাতে পুলিশ শাহজালাল ও আমানতসহ ৩টি হলে অভিযান চালায়। অভিযানে উদ্ধার হয় দেশীয় তৈরি অস্ত্র। হলে তল্লাশি চালানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা চবি ট্রেন লাইন অবরোধ করে। দুটি শাটল ট্রেনের হুজ লাইন কেটে দেয়। শিক্ষক বাসের চাবি কেড়ে নেয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এসব ঘটনার ফলে সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেনি কোন শিক্ষক বাস। সকাল ১০টার দিকে অবরোধের সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ছাত্রলীগ কর্মীরা সমাবেশ করে ও স্লোগান দিতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটক তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় পুলিশ সে তালা ভেঙ্গে ফেলে। এরপর শুরু হয় পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষ। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের টিয়ালশেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে বেলা দুটার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাসের কমপক্ষে এগারোটি গাড়িতে ভাংচুর চালায়। এরপর বেলা তিনটার দিকে প্রক্টর অফিস, কলা অনুষদের সঙ্গীত ও নাট্যকলা বিভাগ, প্রক্টরের গাড়ি, সময় টিভির গাড়িতে ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম ও প্রকৌশল অফিসেও ভাংচুর চালায়। পরে ছাত্রলীগের একাংশ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, আমি তো কোন অপরাধ করিনি। পদত্যাগ করার মতো কোন কারণ তারা বলতে পারলে আমি পদত্যাগ করব। অপরদিকে, চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত শাখা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মনসুর আলম জানান, আটক ছাত্রলীগ কর্মীদের ছেড়ে দিতে হবে, প্রক্টরের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় লাগাতার অবরোধ চলবে।
×