ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘শিখণ্ডী কথা’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘শিখণ্ডী কথা’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের আলোচিত নাট্য প্রযোজনা ‘শিখণ্ডী কথা’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। মহাকাল সূত্রে জানা গেছে আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে ‘শিখ-ী কথা’ নাটকটির ১৭১তম প্রদর্শনী হবে। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত মাসব্যাপী একুশে নাট্যোৎসবে নাটকটির ১৭২তম প্রদর্শনী হবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ নয়মাস পর ‘শিখ-ী কথা’ নাটকটির মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। আনন জামান রচিত ‘শিখ-ী কথা’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রশীদ হারুন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মীর জাহিদ হাসান, ফারুক আহমেদ সেন্টু, পলি বিশ্বাস, রিপন ফরাজী, হাবিবুর রহমান হাবিব, হুমায়ুন, সম্রাট, মোঃ শাহনেওয়াজ, সৈয়দ ফেরদৌস ইকরাম, রুদ্র সরকার, কামরুজ্জামান সবুজ, সৈয়দ লুৎফর রহমান, ইকবাল চৌধুরী, বিথুন আহমেদ, সামিউল জীবন, তৌহিদুর রহমান শিশির, শামসুল আলম, রিফাত হোসেন জুয়েল, বাহার সরকার, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার পলিন, তারকেশ্বর তারক, সুরেলা নাজিম, ইব্রাহিম, বাঁধন, মায়া, নাসিম, কলিন্স, ফারাবী আকন্দ হীরা ও শিবলী সরকার। ‘শিখন্ডী কথা’ নাটকের পোশাক পরিকল্পনায় ওয়াহিদা মল্লিক, সূচনা সঙ্গীত ইউসুফ হাসান অর্ক, আবহসঙ্গীত সুলতানা ইয়াসমিন হক ও আব্দুল আলীম, মঞ্চ পরিকল্পনায় তানভীর হাসান ও মু. শফিকুল ইসলাম, আলোক পরিকল্পনায় রফিকুল হক হিমেল, কোরিওগ্রাফি রাজশ্রী রায়, রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়। প্রযোজনা অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান। লিঙ্গ প্রতিবন্ধীদের সুখ দুঃখ নিয়েই নাট্য-‘শিখ-ী কথা’। লিঙ্গ প্রতিবন্ধীরা নারী না হোক, পুরুষ না হোক একজন স্বাভাবিক মানুষের সম্মান যেন পায়, এই অভিপ্রায় সামনে রেখে মহাকাল প্রযোজনা গবেষণা নাট্য ‘শিখ-ী কথা’। ‘শিখ-ী কথা’ নাট্য কাহিনী যাকে নিয়ে যার সুখ দুঃখ কথা ফুল হয়ে ফুটে উঠবে নটনটীদের অঙ্গে উপাঙ্গে শাখা-প্রশাখায়, যার বেদনা গীত হবে আজ সে এখন মায়ের গর্ভে বাঁকানো ত্বকের ছইয়ের নীচে ছোট্ট ভ্রƒণ। এ ভ্রƒণ জানে না কৈশোরে সে পরিবার থেকে বিতাড়িত হবে, যৌবনে তার কামনা বাসনা পচবে গলবে নিজের ভেতরে, এক ভয়ানক বেদনায় নিজেকেই নিজে খুন করবার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠবে, জীবন যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে এ ভ্রƒণ একদিন ঈশ্বরের মুখোমুখি দাঁড়াবে। এ ভ্রƒণ সমাজের সভ্যজনদের সমবেত করে পরনের কাপড় টুকরো টুকরো করে ছিঁড়বে এই জনমে । এ নাট্যকথার ছোট্ট ভ্রƒণ চাঁদ সোনা এক পুত্র শিশু হয়ে জন্মগ্রহণ করে হিজলতলী গ্রামের রমজেদ মোলার পরিবারে। নাম হয় রতন মোলা। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে আবিষ্কৃত হয় সে অংশত নারী, অংশত পুরুষ। জীবনের সমস্ত স্বাভাবিকতা বিনষ্ট হয়ে জন্মের এক ভীষণ যন্ত্রণা সহস্রমুখো দানবের মতো জীবনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে।
×