ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধু চাষ বাড়লেও বাড়ছে না রফতানি

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মধু চাষ বাড়লেও বাড়ছে না রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ৩৭ বছর ধরে দেশব্যাপী মৌচাষের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করা হলেও এখনও রফতানির পরিমাণ অনেকটাই কম। এজন্য মানসম্পন্ন মধু উৎপাদন না করা ও ফসলে কীটনাশক ব্যবহারই কারণ বলে মনে করছেন চাষীরা। রাজধানীর খামারবাড়ি মৌ মেলায় এসে একথা বলেন তারা। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে মৌচাষ শুরু হলেও দেশব্যাপী মৌচাষের সম্প্রসারণ ঘটে ১৯৮০ সাল থেকে। বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার দক্ষ অদক্ষ মৌচাষী রয়েছেন। সময়ের ব্যবধানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে মৌচাষ। যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়, মৌ মেলায়। প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীর খামারবাড়িতে মৌ মেলার আয়োজন করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এতে অংশ নিয়েছে সরকারী-বেসরকারী ৫৪টি প্রতিষ্ঠান। তারা বলেন, মধু অনেক উপকারী একটা খাবার, এটা এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে দেশে ৩ থেকে ৫ হাজার টন মধু উৎপাদন হয়ে থাকে। এর কিছু অংশ রফতানি হলেও অনেক চাষীই সঠিকভাবে মধু সংগ্রহ না করায় চাহিদা থাকলেও রফতানির পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ফসলে কীটনাশক ব্যবহার করায় মৌমাছির উৎপাদনও কমে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, মধু সংগ্রহের বক্সে কীটনাশক ছিটানোর কারণে মাছিরা মধু সংগ্রহে গেলও তারা আর ফিরে আসতে পারে না। অন্যদিকে মধু রফতানি উপযোগী করতে হলে ক্যাপিং করতে হবে। পুরোপুরি ক্যাপিং করতে ২০ দিনের মতো সময় লাগে। অনেক চাষীই এত সময় অপেক্ষা করতে চান না। এজন্য বাংলাদেশের মধু রফতানিযোগ্য নয়।
×