অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশে উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হবে, এ জন্য বাংলাদেশকে অগ্রিম অভিনন্দন জানায় জাতিসংঘের সমন্বয়কারী।
মন্ত্রী সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপ্পোর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপ্পো সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, বাংলাদেশকে অগ্রিম অভিনন্দন জানাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ খুব ভাল কাজ করেছে। জাতিসংঘ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। সমস্যা সমাধে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাতিসংঘ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, এজন্য জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করছে। বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে পুরস্কৃৃত করেছে। এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে জিএসপি সুবিধা পাবে, এজন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে। যে সব দেশ জিএসপি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করে না, সে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন জুড়ি এবং বিশে^র দরিদ্র দেশের রোল মডেল বলত, আজ তারাই বলছে- বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮ দেশে রফতানি করে আয় করত ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশ্বের প্রায় ১৯৯ দেশে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি করে আয় করছে সার্ভিস সেক্টরসহ ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। ২০৪০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৮তম অর্থনীতি এবং ২০৫০ সালে ২২তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
