ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনার দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে তিন সাক্ষীর জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নেত্রকোনার দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে তিন সাক্ষীর জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার আটপাড়ার দুই রাজাকার হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি ও সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ৬ষ্ঠ সাক্ষী মোঃ আবুল কাশেম, ৭ম সাক্ষী মোঃ আবুল হোসেন ও ৮ম সাক্ষী আব্দুল হালিম খান জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষীগণ তাদের জবানবন্দীতে বলেন, রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ আঞ্জু ও এনায়েত উল্লাহ মঞ্জু (বর্তমানে মৃত) মসজিদের সামনের থেকে কালাচান মুন্সী ও আব্দুল মালেক তালুকদারকে গুলি করে হত্যা করে। ঐ দিন গ্রামের ৫০ / ৬০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদেরকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আজ মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুস শুকুর খান। সপ্তম সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম মোঃ আবুল হাসেম। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম মোবারকপুর পূর্বপাড়া, থানা আটপাড়া, জেলা নেত্রকোনা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল আনুমানিক ১৮ বছর। তখন আমি কৃষিকাজ করতাম। ভাদ্র মাসের ৬ তারিখ বেলা ১১টার দিকে আমি ও কালাচান মুন্সি পাটক্ষেতে পাট কাটতেছিলাম। তখন গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমরা দুই জন পাটক্ষেত থেকে উঠে মসজিদের সামনে গিয়ে আব্দুল মালেক তালুকদারকে দেখতে পাই। লুকিয়ে আরও দেখতে পাই হেদায়েত উল্লা আঞ্জু এবং এনায়েত উল্লাহ মঞ্জু (বর্তমানে মৃত) মসজিদের সামনে থেকে কালাচান মুন্সি ও আব্দুল মালেক তালুকদারকে আটক করে ছন্দু মিয়ার বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। এবং অন্যান্য রাজাকাররা বাড়িঘরে আগুন দেয়। আমি জঙ্গলের ভিতর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ছন্দু মিয়ার বাড়ির পাশে যাই। এবং দেখি রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ আঞ্জু কালাচান মুন্সি ও আব্দুল মালেক তালুকদারকে গুলি করে হত্যা করে। এর পর রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মিরা চলে যায়। আমরা যেয়ে তাদের লাশ দেখতে পাই। ঐদিন গ্রামের ৫০/৬০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
×