ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানদের সুবিধাদি বিল পাস

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানদের সুবিধাদি বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সুযোগ রেখে প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান তথা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন ও ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) বিল পাস করেছে সংসদ। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ‘প্রতিরক্ষা-বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি) আইন-২০১৮ পাসের জন্য উত্থাপন করেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে কণ্ঠভোটে সংসদের স্থিরিকৃত আকারে বিলটি পাস হয়। বিলে অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিধানটিতে বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবত অন্য কোন আইন দ্বারা বাধা আরোপিত না হয়ে থাকলে অবসরপ্রাপ্ত কোন বাহিনী প্রধান সাংবিধানিক কোন পদে নিয়োগ লাভের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন না।’ বিলে নিয়োগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাহিনী প্রধানের নিয়োগের মেয়াদ হবে একসঙ্গে বা বর্ধিতকরণসহ নিয়োগ প্রদানের তারিখ হতে অনুর্ধ চার বছর। বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে বাহিনী প্রধানের বেতন ৮৬ হাজার টাকা হবে। এছাড়া বাহিনী প্রধান উক্ত পদে বহাল থাকাকালীন নির্ধারিত পদ্ধতি ও হারে প্রযোজ্য অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন। বাহিনী প্রধানদের পুনঃনিয়োগ প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে- বাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত হওয়া বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করার পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন সামরিক বা অসামরিক পদে পুনঃনিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন। তবে রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে আবশ্যক মনে করলে অবসরপ্রাপ্ত কোন বাহিনী প্রধানকে চুক্তিভিত্তিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন অসামরিক পদে নিয়োগদান করতে পারবেন। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬২ অনুচ্ছেদ এর বিধানমতে, সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগদান ও তাদের বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ করার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা বাহিনী সমূহের প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতাদি সম্পর্কিত কোন আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বর্তমানে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতাদিও বিষয়টি সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থিত না হয়ে বর্তমানে যৌথ বাহিনী নির্দেশনাবলী নামীয় ইন্সট্রুমেন্ট দ্বারা অন্যান্য সকল সামরিক কর্মচারীর সঙ্গে একীভূতভাবেই ব্যবস্থিত হচ্ছে। এ ধরনের যৌথবাহিনী নির্দেশনাবলীর পাঠোদ্ধার অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়ন করে বাহিনী প্রধানদের নিয়োগ এবং বেতন ও ভাতাদি সম্পর্কিত একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন করা প্রয়োজন।
×