ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিবান্ধব সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ;###;ধান, গম ও ভুট্টা চাষে বিশ্বের গড় উৎপাদন পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছে দেশ;###;সাফল্যের স্বীকৃতি মিলেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে

আবাদি জমি প্রতিনিয়ত কমলেও কৃষিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আবাদি জমি প্রতিনিয়ত কমলেও কৃষিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য

ওয়াজেদ হীরা ॥ ক্রমেই বাড়ছে মানুষ। আর অতিরিক্ত মানুষের জন্যই তৈরি হচ্ছে ঘরবাড়ি ও কলকারখানা। তাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা কারণে প্রতিনিয়তই কমছে কৃষি জমি। নগরায়ণের কারণে দেশের কৃষি জমি দিন দিন কমে আসছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবর্তন অর্থাৎ বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে খাদ্যশস্য উৎপাদনও। এত কিছুর পরও থেমে নেই কৃষির অগ্রযাত্রা। উপরন্তু বাংলাদেশের কৃষিতে রয়েছে সাফল্যের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উদাহরণও বটে। কেননা, কৃষিতে রয়েছে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য। এই ধারাবাহিকতা আগামী দিনগুলোতেও সরকার ধরে রাখবে বলে প্রত্যাশা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে কৃষি ও মৎস্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ধান, গম ও ভুট্টা চাষে বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। কৃষক যাতে তাদের ফলন বাড়াতে পারে এ জন্য ৯ বছরে কৃষিতে হাজার হাজার কোটি টাকার ভর্তুকিও প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ। মাছ উৎপাদনেও চতুর্থ অবস্থানে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশে^ তৃতীয়। দেশী-বিদেশী অনেক অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অভিমতেও আমাদের অর্জনের স্বীকৃতি রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চাল, গম ও ভুট্টা ইত্যাদি দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে কৃষিখাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের আকস্মিক বন্যা, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে হাওড় এলাকার ৬টি জেলার ৬ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি জেলার কৃষকদের জন্য চলতি অর্থবছরে ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার আরও একটি পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষির আধুনিকায়নের জন্য কৃষক পর্যায়ে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে রাসায়নিক সারের চাহিদার বিপরীতে মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং এ সরকারের আমলে সারের কোন সঙ্কট হয়নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের চলতি বছরে আলু উৎপাদন ১ কোটি ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন ও মিষ্টি আলু উৎপাদন ৮ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। সবজি উৎপাদনের সাফল্যের গল্পও বাংলাদেশের। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট সবজির উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন। তথ্যে জানা গেছে, আবাদি জমির পরিমাণ ৮.৫ মিলিয়ন হেক্টর আর সবজি চাষের জন্য ব্যবহার হচ্ছে মাত্র শতকরা ৯.৩৮ ভাগ জমি। মাথাপিছু ২২০ গ্রাম সবজি গ্রহণের প্রয়োজন হলেও সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে ৬০-৭০ ভাগ। বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবজি চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলেও মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মৎস্য অধিদফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ লাখ ৫০ হাজার টন। ওই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৪ হাজার টন বেশি। জাটকা এবং মা ইলিশ নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রমের ফলে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় মাছ ইলিশের ‘ভৌগোলিক নিবন্ধন সনদ’ পাওয়া গেছে। এছাড়া পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানিয়েছেন, মাছ-মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে প্রকাশিত জাতীয় খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা-২০১৫ অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬০ গ্রাম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী জনপ্রতি প্রতিদিন মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম, যা দৈনিক মাথাপিছু মাছ চাহিদার চেয়ে বেশি। ফলে মাথাপিছু চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। নারায়ণ চন্দ্র আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের লাইভ স্টক রিসোর্স ইন বাংলাদেশ-১৯৯৫ গবেষণা পুস্তিকা অনুসারে জনপ্রতি প্রতিদিন ১২০ গ্রাম মাংসের দরকার। মাংসের এ চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট মাংস উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৭১ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন, যার বিপরীতে মোট মাংস উৎপাদন হয়েছে ৭১ লাখ ৫৪ হাজার টন। ফলে জনপ্রতি চাহিদা অনুযায়ী মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে মৎস্য মন্ত্রী বলেছেন, বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য চাষ নিবিড়করণ, পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম ও বিল নার্সারি স্থাপন, মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন ও সমাজভিত্তিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব চিংড়ি ও মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, মাছের আবাসস্থল পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন, প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, প্রজননক্ষম মাছের কৌলিতাত্ত্বিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার ফলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের ফসল আজকের মাংস উৎপাদনে এ সাফল্য বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন তিনি। এদিকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে জানান, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন বর্তমান সরকার। ফলে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ পদক্ষেপে কৃষিতে উন্নয়ন এসেছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। সংসদ সদস্যদের নানা প্রশ্নের নানা জবাবে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানান, বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষির একটি নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকার সারে ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। এছাড়া খামার যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য সরকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সময় ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। কৃষিমন্ত্রী জানান, গত ২০১৬-১৭ বোরো মৌসুমে আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ লাখ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯১ দশমিক ৫৩ লাখ মেট্রিক টন। যদিও পাহাড়ী ঢল ও আকস্মিক বন্যার কারণে হাওড় এলাকায় বোরো ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া বিএডিসির মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্যে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষিতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের কারণে ও সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। কৃষির উন্নয়নে সরকার ৪ দফা নন-ইউরিয়া সারের মূল্যহ্রাস করে (কেজি প্রতি) টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা ও ডিএপি ২৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছে। ডিজিটাল কৃষি তথা ই-কৃষির প্রবর্তন (৪৯৯টি এআইসিসি, কৃষি কল সেন্টার, কৃষি কমিউনিটি রেডিও, সব সংস্থার তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট, মোবাইল এ্যাপস, ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার, ই-বুক, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি) করার কারণে কৃষক কৃষি বিষয়ে সেবা পাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের পরপর দুই মেয়াদে চার দফায় সারের দাম কমানো হয়। ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেচের পানির ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয় এবং সেই সঙ্গে ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষকের মাঝে উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। যুগান্তকারী এসব পদক্ষেপের ফলে কৃষিতে এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এছাড়াও চলতি সংসদ অধিবেশনে সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ বাতিল করে কৃষি বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার সমন্বয়ে ‘বীজ বিল, ২০১৮’ সংসদে পাস হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ মোবাইল কোর্টে বিচার হবে। বিলে জাতীয় বীজ বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিল ২০১৮ পাস করা হয়েছে। নতুন আইনে লাইসেন্স ছাড়া কৃষিকাজের জন্য নলকূপ স্থাপনের অপরাধের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। আগে শুধু জরিমানা ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা বা অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদ-। বিলে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে। বিদ্যমান নলকূপগুলোকে সময় দিয়ে লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। যদি কোন লাইসেন্স এক বছরের মধ্যে তিনবার স্থগিত হয়, তবে উপজেলা পরিষদ শুনানি করে তা বাতিল করতে পারবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষি উন্নয়নে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য এবং সেচ কাজে পানির অপচয় হ্রাস, ভূগর্ভের পানির সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের একাধিক কৃষকও এই সুফলের বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কৃষিসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সরকারের ধারাবাহিকতা আর সেই সঙ্গে নানা পদক্ষেপের কারণে উন্নয়নের সুফল মিলছে। কৃষকরাও ফলন ভাল পাচ্ছে। কৃষকরা এখন সারাবছর চাষাবাদ করতে পারছেন। কৃষকরাও মনে করেন তাদের ফলন আগের চেয়ে বেড়েছে নানা পদ্ধতি অবলম্বনের কারণেই। সেই সঙ্গে একই জমিতে একাধিক ফসলও এখন উৎপাদন করার সাহস তারা দেখায় হাতের কাছেই নানা পরামর্শ মিলছে বলেই। সাফল্যের ধারাবাহিকতার আশা প্রান্তিক কৃষকদের।
×