ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসকে সহযোগিতার দায়ে ১২ বিধবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১৮:১১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আইএসকে সহযোগিতার দায়ে ১২ বিধবার মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের সহযোগিতার দায়ে ১২ জন বিধবার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বাগদাদের একটি আদালত। গত সাত মাস বিষয়টির ওপর যুক্তিতর্ক শেষে রোববার তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। দেশটির একজন সরকারি কৌঁসুলির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, এসব নারীরা সরাসরি সহিংস কোন ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। তবে এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ দেওয়া, পরিকল্পনা ও অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে। ইরাকের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের চার নম্বর ধারায় বলা আছে, অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ দেয়, পরিকল্পনা করে, অর্থায়ন করে বা যে কোন ধরণের সহায়তা করে তবে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ১১ জন তুর্কি ও একজন আজারবাইজানের নাগরিক। এদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। গত বছর আইএস বিরোধী অভিযানের সময় মসুল ও তাল আফার শহর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। যুদ্ধের সময় এসব নারীদের স্বামীরা ইরাকি বাহিনীর হাতে নিহত হন। আজারবাইজান থেকে আসা মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নারী আনজি ওমরানে বলেন, আমার স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ হয়। সে আমাকে তুরস্কে যেতে বলে। ভেবেছিলাম আমাকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে দেখলাম সিরিয়া হয়ে ইরাকে আনা হয়েছে। লিলা নামে তুরস্কের আরেক নারী বলেন, আমার স্বামী জোর করে এখানে নিয়ে আসে। আমি না আসলে আমার দুই ছেলেকে নিয়ে আসার হুমকি দেয়। এখানে আমি কোন সহিংসতার সাথে জাড়িত ছিলাম না। সবসময় ঘরেই থাকতাম। এদের একজন বলেন, আমি তুরস্ক থেকে স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি। ভেবেছিলাম এখানে খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। আমি চায় ইসলামি শাসন অনুযায়ী চলতে। কিন্তু এখানে এসে আমার স্বামী ও দুই ছেলে বিমান হামলায় মারা গেছে।
×