ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ও বাঙালীর শেষ আশ্রয় শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 বাংলাদেশ ও বাঙালীর  শেষ আশ্রয়  শেখ হাসিনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে রবিবার বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণে শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান প্রধান অতিথি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও বাঙালীর শেষ আশ্রয় শেখ হাসিনা। উদ্ভাবন, আবিষ্কার, যোগাযোগ, উন্নয়ন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে উন্নয়ন আকাক্সক্ষী দেশসমূহের রোল মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে অগ্রসরমান বাংলাদেশ যেন মূল্যবোধ, আবেগ ও বিবেকহীন জাতিসত্তার ধারক না হয় সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মানুশীল ও ধর্মানুরাগে জাতির পিতার কর্মসূচীর ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রেখেছেন। তাই বিশ্বের বিস্ময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সর্বত্র প্রশংসিত। বক্তারা আরও বলেন, মক্কায় মহানবী (সা) প্রতিষ্ঠিত দারুল আরকাম নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে এক হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে সারাদেশে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ কাম ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদান করেছে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। ৮০টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দিয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ধর্মভীরু মানুষের মধ্যে শিক্ষার অভাব হলে ধর্মান্ধতা সৃষ্টি হয়। মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ও সত্যিকারের ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে ধর্মান্ধতা দূর করতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দারুল আরকাম মাদ্রাসায় এক হাজার ১০ জন কওমী আলেমের চাকরির সুব্যবস্থা করেছে। মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষার মাধ্যমে ১৬ হাজার ধর্মপ্রাণ নারীর জন্য দাওয়াতভিত্তিক কর্মসংস্থান করেছে। সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। -বিজ্ঞপ্তি
×