ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে যমজ শিশুর একটি পেটে রেখে অস্ত্রোপচার শেষ করার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ফরিদপুরে যমজ  শিশুর একটি  পেটে রেখে  অস্ত্রোপচার শেষ  করার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ ফরিদপুরে দুটি যমজ শিশু গর্ভে ধারণ করলেও চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে একটি শিশু বের করেন, অপরটি পেটের ভেতরে রেখেইে অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ ও আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ওই প্রসূতির পেটে আবার অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে পেটে কোন শিশু পাওয়া যায়নি। শনিবার রাত ৮টার দিকে এবং রবিবার বিকেল ৫টার দিকে একই প্রসূতিকে দুইবার অস্ত্রপচার করার এ ঘটনাটি ঘটে ফরিদপুর শহরের নিলটুলী মহল্লায় অবস্থিত ডাঃ জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে। দুই দফাই এ অস্ত্রোপচার করেছেন গাইনীর চিকিৎসক রিজিয়া আলম। ওই প্রসূতির নাম সেলিনা বেগম (৩৮)। তিনি একজন গৃহবধূ। সেলিনা বেগম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুরের গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজাদ খলিফার (৪০) স্ত্রী। সেলিনা বেগমের বড় বোন জাহানারা পারভীন জানান, শনিবার বিকেলে প্রসব ব্যথা নিয়ে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন সেলিনা। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে একটি ছেলে বাচ্চা বের করেন। চিকিৎসক একটি বাচ্চা বের করলেও অপর আরেক বাচ্চা পেটের মধ্যে রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করেন। জাহানারা বলেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে ভূমিষ্ট বাচ্চাটি মারা যায়। পাশাপাশি সেলিনাও অসুস্থ হতে থাকেন। পেটের ব্যথা বাড়তে থাকে। রবিবার সকালে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ফের আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। তাতে দেখা যায় আরেকটি বাচ্চা রয়েছে সেলিনার পেটে। তবে গত রবিবার বিকেল ৫টার দিকে সেলিনার শরীরে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করেন রিজিয়া আলম। কিন্তু পেট কেটে দ্বিতীয় কোন শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফরিদপুর শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্কাস মন্ডল বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো অস্ত্রোপচার করে সেলিনার পেটে কোন শিশু পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রথমবারের অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে যে দুটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় তার প্রতিবেদন সঠিক ছিল না। যদিও আল্ট্রাসনোগ্রামের প্রতিবেদনে কালো জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসক রিজিয়া আলম বলেন, সেলিনার শরীরে অস্ত্রোপচার নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। সবই স্বাভাবিকভাবে হয়েছে।
×