ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমান বিশ্বে জঙ্গী একটি বৈশ্বিক সমস্যা। দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে জঙ্গী অন্যতম অন্তরায়। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গী দমনে জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে জঙ্গী দমনে সারাবিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গী সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বহু জঙ্গী সদস্য গ্রেফতার এবং তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন। তিনি জানান, বিচ্ছিন্নভাবে পলাতক থাকা জঙ্গী সদস্যরা মাঝে মধ্যে নিজেদের সংগঠিত করার জন্য দুর্গম পাহাড়ী এলাকা ও দুর্গম চরাঞ্চলকে নিরাপদ ঘাঁটি ভেবে সেখানে জঙ্গী আস্তানা তৈরির চেষ্টা করে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাদের সে উদ্যোগ বা কৌশল সফল হতে পারেনি। জঙ্গী নির্মূলে আইন-শৃৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। সরকারী দলের অপর সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ইতিপূর্বে জঙ্গী/সন্ত্রাসী/নাশকতামূলক/ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কর্মকা- ও গতিবিধি সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসীসহ সব অপরাধীর কর্মকা- রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে আনা হবে ॥ ন্যাপের সংসদ সদস্য মিসেস আমেনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীরা যাতে অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে না পারে (যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি) সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যান্য পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের মধ্যে খন্দকার আবদুর রশিদের মালিকানাধীন সোয়া এক একর ভূমি বাজেয়াফত করে খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া কানাডায় অবস্থানরত খুনী নূর চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মেজর (অব) আবু মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরীকে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র হতে ফেরত আনার লক্ষ্যে নিয়োগকৃত ল ফার্মের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ছিনতাইকারী ধরতে পুলিশের পোপন ফাঁদ ॥ সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ছিনতাই প্রতিরোধে ও জনসাধারণের নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফাঁদ পাতা পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ছিনতাইয়ের সম্ভাব্য সময় যেমন- সন্ধ্যা ও ভোর রাতে পুলিশ সদস্যগণকে সিভিল পোশাকে সতর্কতার সঙ্গে মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী (ল্যাপটপ, ক্যামেরা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদি) দিয়ে রিক্সায় ঘোরাঘুরি করে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, চোরাই মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের স্থান শনাক্ত করাসহ ছিনতাইকারী আটকের জন্য গোয়েন্দা নিয়োজিত করা হয়েছে। ডিএমপি এলাকায় ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রস্তুতপূর্বক বিশেষ গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুলিশের পোশাক বিক্রি নয় ॥ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সত্যিকার পরিচয় ব্যতীত পুলিশ ও র‌্যাবের পোশাক, হ্যান্ডকাফ, বেল্ট ও জুতা অবাধে বিক্রি বন্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর ব্যবহৃত পোশাক সামগ্রী, র‌্যাঙ্ক, ব্যাজ, হ্যান্ডকাপসহ অন্যান্য সামগ্রীর অপব্যবহাররোধে পরিবীক্ষণের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
×