ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি রাজশাহীবাসীর

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৭ দফা  বাস্তবায়নের দাবি  রাজশাহীবাসীর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী সফরকালে ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করবে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে এসব দাবিনামা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব দাবি তুলে ধরা হবে। রাজশাহীর উন্নয়নে এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হবেন বলেও নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন। রবিবার সকালে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সহ-সভাপতি ডাঃ আবদুল মান্নান। সভায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাজশাহীর উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান। সভায় উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত ও শিল্পকারখানায় গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, নগরীতে আবেদনকারীদের বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ স্থাপন, গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্প পুনর্বিবেচনায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন, আরও একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপন অন্যতম। এছাড়া রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, আব্দুলপুর-রাজশাহী-রহনপুর ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ, সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, ভূখ- রক্ষায় স্থ’ায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ, কৃষিভিত্তিক ইপিজেড প্রতিষ্ঠা, পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নগরীর একাধিক মাধ্যমিক স্কুল সরকারীকরণ, ক্রিকেট টেস্ট ভেন্যু স্থাপন, পদ্মা নদীর চরে সরকারীভাবে অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, পদ্মা নদীর রাজশাহী-চাঁপাই ও চারঘাট-বাঘা ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ করে নদীপথে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা চালুকরণ, আম, টমেটোসহ অন্যান্য ফল সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন এবং নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ সহায়তার দাবি করবেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান রাজশাহীর উন্নয়নে এসব বিষয় বাস্তবায়নের দাবি করে বলেন, রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পূর্ব পাশ ঘেষে পদ্মা নদী প্রায় ৭০ কিমি দৈর্ঘ্যে বিস্তৃত। কৃষিভিত্তিক উত্তরাঞ্চলের মানুষ পানির বড়ই কষ্টে আছে। ভূ-উপরিস্থিত পানির ব্যবহার ছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি বিপ্লব ও এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে ভূমিধস ও জলবায়ু বিরূপ প্রভাবসহ পরিবেশ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে এর মাশুল দিতে হবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে। সভায় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, এসব দাবিতে রাজশাহীর মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বছরের পর বছর ধরে নানা আশ^াস থাকলেও দাবিগুলো পূরণ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমনে আবার নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছে রাজশাহীবাসী। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, সহসভাপতি হারুনার রশিদ, এ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, বার কাউন্সিলের সদস্য এ্যাডভোকেট ইয়াহিয়া, এ্যাডভোকেট অঙ্কুর সেন প্রমুখ।
×