ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ সরকার থেকে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এলাকার জমির মালিকরা। পরিত্যক্ত জমিতে রাতারাতি গড়ে তুলছে বাড়ি-ঘর ও বাগানবাড়ি। ঘোষণা অনুযায়ী সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণে কার্যক্রম শুরুর আগে বর্তমানে চলছে বিশেষজ্ঞ কমিটির সমীক্ষার কাজ। সৈয়দপুর শহরের দক্ষিণ পূর্ব দিকে পৌর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন মিলে বিশাল এলাকাজুড়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট। এ এলাকা বাদ দিয়ে তিন কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যর রানওয়েটি আরও প্রশস্ত হবে। প্রায় ১৮শ’ ফুট সংযোগ করে ৯১২ একর জমি অধিগ্রহণ হবে। এর জন্য জেলা সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১১ হাজার পরিবারের নাম ও বাড়িঘরের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপরে সিভিল এভিয়েশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলেই অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এর আওতায় সৈয়দপুর পৌর এলাকার টেকনিক্যাল কলেজ পাড়া, বিমানবন্দর পশ্চিমপাড়া, বাড়াইশাল চৌমহনি, তেলিপাড়া, বুজারী পাড়া ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউপির কিছু এলাকাবাসিরা বসতবাড়ি নির্মাণে উঠেপড়ে লেগেছ। বিশেষ করে রানওয়ের শেষ মাথায় প্রাচীরের ওপাশে দক্ষিণ অংশে রাতারাতি ঘরবাড়ি নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণ করে বাগানবাড়ি নির্মাণ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক শ্রেণীর কতিপয় ব্যক্তি এ কার্যক্রমকে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে জমির মালিকের সঙ্গে আঁতাত করে জমির মালিকরা রাতারাতি আবাদি ও পরিত্যক্ত জমিগুলোতে সালটি ইট ও নামমাত্র সিমেন্ট দিয়ে ঘর নির্মাণ করছে। কেউবা টিনের ছাউনি ও টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করে রেখেছে। বিমানবন্দর আধুনিকায়ন হচ্ছে শুনে সুযোগ-সন্ধানীরা ক্ষতিপূরণ বাবদ বেশি টাকার পাওয়ার লোভে এ কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। কয়েক দাদন ব্যবসায়ী জমির মালিকদের কাছ থেকে কয়েক বাৎসরিক চুক্তিতে জমি নিয়ে এ ঘর নির্মাণ ও বাগান করেছে। এতে বিমানবন্দরের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করবে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার শাহীন আলম জানান, আঞ্চলিক বিমানবন্দর ঘোষণার পর জমি অধিগ্রহণের জন্য বিমানবন্দরের আশপাশে এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে দুটি টিম সার্ভে করে। ওই সার্ভে দেখে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বর্তমানে অবৈধভাবে যেসব ঘর নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণ করেছে এগুলো করে কোন লাভ হবে না। তবে তিনি বিমানবন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
×