ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিঋণ বিতরণ ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 কৃষিঋণ বিতরণ ১২ হাজার  ৭০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে ১২ হাজার ৭০২ কোটি ১৭ লাখ টকা; যা পুরো অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৬২ দশমিক ২৭ শতাংশ। একই সময়ে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ৮ বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৯ বিদেশী ব্যাংক বিতরণ করবে ৪৮৩ কোটি টাকা। আর বেসরকারী দেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করবে ১০ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি ৭ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। আর দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৭ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ পল্লী অঞ্চলে বিতরণ করতে হবে। পল্লী অঞ্চলে অর্থ সরবারহের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টিতে সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করে। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যবস্থা চালু করে এর সফলতাও পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিতরণ হয় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সাত মাসে কিছু কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম, আবার কিছু ব্যাংক কোন ঋণ বিতরণই করতে পারেনি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময়ে ব্যাংক আল-ফালাহ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও সীমান্ত ব্যাংক কোন ঋণ বিতরণ করেনি। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম বিতরণ করেছে মধুমতি ব্যাংক ৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক করেছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে এ সময়ে কিছু কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন লক্ষ্যমাত্রার ১৯২ শতাংশ, স্টেট অব ব্যাংক ইন্ডিয়া ১৮৭ শতাংশ, কমার্স ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক শতভাগ, ব্র্যাক ব্যাংক ১১১ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক ১৫৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৫৭ শতাংশ, এনআরবি ১০৩ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ১২৮ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক ১২১ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ১২৪ শতাংশ বিতরণ করেছে।
×