ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা জাতিসংঘ মহাসচিবের

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। তিনি প্রত্যাশা করছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে। শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই প্রত্যাশার কথা জানান। ব্রিফিংয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও কথা বলেন দুজারিক। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কী না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে দুজারিক বলেন, আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করি... যে কোন দেশের ক্ষেত্রেই...এটা আমাদের মৌলিক অবস্থান। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, আমরা আশা করছি, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হতে পারে, সে রকম একটি পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, যে কোন প্রত্যাবাসনই হতে হবে স্বেচ্ছায় এবং জোরজবরদস্তি ছাড়া। দুজারিক বলেন, রোহিঙ্গাদের যেন কোন তাবুতে ফিরতে না হয়। তাদের আপন ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে, যেখান থেকে তাদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হয়েছিল। গত বছর আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হলে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখো রোহিঙ্গা, যা এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। প্রথম দিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এই রোহিঙ্গাদের ‘অনুপ্রবেশকারী বাঙালী’ বলে আখ্যা দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে জনগোষ্ঠীটির লোকদের ফিরিয়ে নিতে সমঝোতায় পৌঁছায়। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকার অভিযোগ, রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় এ প্রক্রিয়া এখনই শুরু হচ্ছে না। এর মধ্যে শুক্রবার ঢাকায় দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় জনগোষ্ঠীটির ৮ হাজার ৩২জনের একটি তালিকা মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিয়াও সোয়ে’র নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের হাতে তুলে দেয় ঢাকা। বাংলাদেশ আশা করছে, প্রথম পর্যায়ে এই নাগরিকদের ফেরানোর মাধ্যমে মিয়ানমার তাদের সব রোহিঙ্গাকে স্বদেশে প্রত্যাবাসন করবে।
×