ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ভারত-ইরান মতৈক্য

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ভারত-ইরান মতৈক্য

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সফররত ইরানী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে শনিবার নয়াদিল্লীতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা তাদের এ ব্যাপকভিত্তিক বৈঠকে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। Ñখবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এডিটিভির রুহানি তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন। তিনি দু’দিন হায়দরাবাদে অবস্থানের পর শুক্রবার রাতে নয়াদিল্লী এসে পৌঁছেন। বৈঠকের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন। তিনি রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বৈঠককে সামনে রেখে তেহরান ভারতীয় জনগণের সমৃদ্ধির জন্য ইরানের বিশাল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদের অংশীদারত্ব প্রদানে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। রুহানি বলেছেন, বর্তমান শতাব্দী এশিয়ার এবং এখানে নয়াদিল্লী ও তেহরানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি ইরানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যৌথভাবে নিমার্ণাধীন চাবাহার বন্দরের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এ বন্দর ভারতের জন্য আফগানিস্তান ও মধ্য-এশীয় দেশগুলোতে যাওয়ার ট্রানজিট রুট খুলে দেবে। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, আমরা মনে করি যে, ইরান ও ভারতের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য সম্পর্ক রয়েছে অনেক শতাব্দী ধরে। ইরানী প্রেসিডেন্টকে শনিবার ভোরে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। ২০১৩ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর রুহানির এটি প্রথম ভারত সফর। ইরানের সঙ্গে হায়দরাবাদের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ইতিহাস বন্ধন রয়েছে বলে রুহানি তার ভারত সফর শুরু করেন হায়দরাবাদ শহর থেকে। এর আগে শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়ন হলে তা শুধু দুদেশের জন্য লাভ বয়ে আনবে না বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। শুক্রবার রাতে রাজধানী নয়াদিল্লী পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি একথা বলেন।
×