ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ ঘিরে সংশয়!

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ ঘিরে  সংশয়!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাফল্য লাভের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, যথাযথ প্রস্তুতি, সদিচ্ছা, সাহস, আত্মবিশ্বাস, প্রয়োজনীয় রসদ, পরিশ্রম এবং ভাগ্যের ছোঁয়া। কিন্তু প্রস্তুতিতেই যদি গোলমাল দেখা দেয় তাহলে সাফল্য নামের সোনার হরিণটার নাগাল পাওয়া ভীষণ দুষ্কর হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল পড়েছে তেমনই এক সমস্যায়। এশিয়ান গেমস হকির মূলপর্বে খেলার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় হকি দল। এ লক্ষ্যে রোজ অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে মাহবুব হারুনের শিষ্যরা। তারা খেলবে ‘এ’ গ্রপে। যেটা তুলনামূলক অনেকটাই সহজ গ্রুপ। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন তাদের। কিন্তু আগের অন্যান্য টুর্নামেন্টের মতো প্রস্তুতি ম্যাচের ঘাটতিটা হয়তো থেকেই যাবে তাদের। কেননা জিমিদের প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর সংশয়! বিশ্ব হকি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা হংকং আছে ৪৫ নম্বরে। থাইল্যান্ড ৪৭ নম্বরে। আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া এখনও র‌্যাঙ্কিংয়ের আওতাতেই আসেনি। বড় কোন টুর্নামেন্টে নামার আগে দলের খেলোয়াড়দের অন্যতম চাহিদা থাকে বিদেশী ভাল মানের কোন দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। তাতে করে নিজেদের ভুল ত্রুটিগুলো শুধরে নেয়া যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলকে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করে দিতে সবসময়ই ব্যর্থ হয়ে আসছে হকি ফেডারেশন। ফলে নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ না পেয়ে সরাসরি বড় দলগুলোর সামনে অসহায় হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ বাছাইয়ের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করেছিল ফেডারেশন। কিন্তু গত সপ্তাহে কোরিয়া মানা করে দেয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে বিদেশী কোন দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে কিনা তাও জানাতে পারেনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। তাই বাধ্য হয়ে শেষে হয়তো সার্ভিসেস দলগুলোর বিপক্ষে খেলে ঘাটতি মেটাতে হবে বাংলাদেশকে। কোচ মাহবুব হারুন আপাতত এমনটাই পরিকল্পনা করেছেন। ঘরোয়া আসর না থাকায় দলের অনেক খেলোয়াড়ই নেই ছন্দে। বিরতির সময়টায় সার্ভিসেস দলগুলোর সদস্যরা ফিটনেস ধরে রাখলেও, পিছিয়েছেন বাকিরা। এন্ডুরেন্স টেস্টে ৩ হাজার ৬০০ মিটার দৌড়ে তার প্রমাণ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর রেজাউল করিম। বাংলাদেশের ওমান মিশন শুরু ৯ মার্চ থেকে। হাতে এখনও আছে ২০ দিনের কিছু বেশি সময়। কোচ হারুনের প্রত্যাশা এর মধ্যে ফিটনেসে তাকে সন্তুষ্ট করতে পারবে শিষ্যরা। হয়তো শেষ পর্যন্ত সার্ভিসেস দলগুলোর সঙ্গে খেলেই নিজেদের কিছুটা যাচাই করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। জানা গেছে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ দল ওমান যাবে ৭ মার্চ।
×