ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

২৪৩ রান করেও ৫ উইকেটের হার স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের, গড়েছে টি২০তে সবচেয়ে বেশি রান টপকে জয়ের নতুন রেকর্ড, বিফলে কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের (১০৫) সেঞ্চুরি

ইতিহাস গড়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইতিহাস গড়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বৃহস্পতিবার মিরপুরে ১৯৩ রান করেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। একদিন পরই টাইগারভক্তদের হতাশায় স্বস্তির উপলক্ষ হয়ে এলো নিউজিল্যান্ড! শুক্রবার ঘরের মাঠ অকল্যান্ডে ২৪৩ রান করেও হারল কিউইরা। ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্যটা টপকে গেল ১.১ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই- গড়ল টি২০তে সবচেয়ে বেশি রান টপকে জয়ের নতুন রেকর্ড। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪ উইকেটে জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। ৪৪ বলে ৭৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন অসি ওপেনার ডি অর্চি শর্ট। বিফলে গেছে কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের (১০৫) সেঞ্চুরি। এ নিয়ে সিরিজে নিজেদের চার ম্যাচের সবকটিই জিতল আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়া। ফলে রবিবার হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড লীগপর্বের শেষ ম্যাচটা হয়ে উঠল ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনাল। মজার বিষয়, নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন গাপটিল, বড় একটা হাফ সেঞ্চুরি এসেছে কলিন মুনরোর (৭৬) ব্যাট থেকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ রস টেইলরের অপরাজিত ১৭। তবে অস্ট্রেলিয়া এই রান টপকে গেছে কোন সেঞ্চুরি ছাড়াই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অধিনায়ক ৫৯ ডেভিড ওয়ার্নারের। আগে ব্যাট করে টি২০তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এই অস্ট্রেলিয়ারই ২৬৩/৩Ñ ২০১৬, পাল্লেকেলে, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। একই বছর মার্কি মুলকের লাডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৪৪ করে হেরেছিল ভারত। বড় রান তাড়ায় ওয়ার্নারের টর্নেডো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ১৩তম ফিফটি পাওয়া ওপেনারকে বোল্ড করে ফেরান ইশ সোধি। ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। শুরুর জুটিতে ৮.৩ ওভারে ১২১ রান তুলে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। আরেক ওপেনার শর্ট নিজের প্রথম ফিফটি ছুঁয়ে ফিরেন ৭৬ রান করে। ম্যাচসেরা এই ব্যাটসম্যানের ৪৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও তিনটি ছক্কায়। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ক্রিস লিন। মাত্র ১৪ বলে ৩১ রান করে বিদায় নেন ছন্দে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বাকিটা সারেন এ্যারন ফিঞ্চ। মাত্র ১৪ বলে তিনটি করে ছক্কা চারে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে ছক্কা ৩২টি। স্পর্শ করল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। ২০১৬ সালের আগস্টে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩২ ছক্কা হাঁকিয়েছিল দল দুটি। চার ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচেই হারা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট শূন্য। ওভারে দুটি বিমার দেয়ায় ম্যাচে বোলিংয়ের যোগ্যতা হারানো কিউই পেসার বেন হুইলারের বোলিং ফিগার ৩.১-০-৬৪-০। অর্থাৎ টি২০তে এক ম্যাচে সবচেয়ে খরচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়া থেকে মাত্র ৬ রান দূরে ছিলেন হুইলার। বিমার না দিলে সেটা হয়তো হয়েই যেত। টি২০তে এক ম্যাচে সবচেয়ে খরচে বোলিংয়ের রেকর্ড ব্যারি ম্যাকার্থির। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়েছিলেন এ পেসার। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড ॥ ২০ ওভারে ২৪৩/৬ (গাপটিল ১০৫, মুনরো ৭৬, সাইফার্ট ১২, চ্যাপম্যান ১৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩, টেইলর ১৭*, উইলিয়ামসন ১, হুইলার ১*; রিচার্ডসন ২/৪০, স্ট্যানলেক ১/৪৩, টাই ২/৬৪, স্টয়নিস ০/৫০, এ্যাগার ১/২৪, শর্ট ০/১৯)। অস্ট্রেলিয়া ॥ ১৮.৫ ওভারে ২৪৫/৫ (ওয়ার্নার ৫৯, শর্ট ৭৬, লিন ১৮, ম্যাক্সওয়েল ৩১, ফিঞ্চ ৩৬*, স্টয়নিস ৪, ক্যারি ১*; বোল্ট ১/৪২, হুইলার ০/৬৪, সাউদি ১/৪৮, সোধি ১/৩৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৫৬)। ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ॥ ডি অর্চি শর্ট (অস্ট্রেলিয়া)।
×