ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজের মূল্য আরও কমেছে

শীতকালীন সবজির দাম কমলেও চাহিদা বেড়েছে গরমকালের

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শীতকালীন সবজির দাম কমলেও চাহিদা বেড়েছে গরমকালের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শীত কমতেই বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে শীতকালীন সবজির দাম কমলেও বেশি দামে করলা, পেঁপে ও বেগুনের মতো সবজি কিনছেন ভোক্তারা। কেজিতে ৫ টাকা কমে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার ও কাওরান বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বসন্তের শুরুতেই বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বাজারে সারাবছর সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতায় চাষ হচ্ছে করলা বরবটির মতো সবজিও। আবার গ্রীষ্মেও মিলছে ফুলকপি-বাঁধাকপি। তবে ঋতু ও কালভেদে উৎপাদন ও চাহিদার বিষয়টি এখনও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ কারণে শীত কমে যাওয়ায় এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বেড়েছে। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁপে ৩০ ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। দামও তুলনামূলক অনেক কম। প্রতিকেজি দেশী জাতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। অথচ সারাবছর এই সবজিটি গড়ে প্রায় ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কখনো এর চেয়েও বেশি দামে কিনতে হয়েছে ভোক্তাদের। পুরান ঢাকার বনগ্রাম রোড থেকে সবজি কিনছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র্র। তিনি জানালেন, দাম বেশি হলেও গরম পড়ায় করলা কেনা হয়েছে। করলার সঙ্গে পেঁপেও কেনা হয়েছে। এখন সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। বিশেষ করে টমেটোর দাম কমে আসায় ভোক্তারা খুশি। ১৫-২০ টাকায় ভাল মানের টমেটো পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, দাম কমায় টমেটো খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভোক্তারা। এই সবজির পুষ্টিগত গুণ বেশি হওয়ায় বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শও রয়েছে এই ভোক্তার। এদিকে, দেশীয় জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। তবে সেই তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। প্রতিকেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় দেশীয় জাতীয় পেঁয়াজের দাম কমছে। কাপ্তান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনির জনকণ্ঠকে বলেন, দেশীয় জাতীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। এছাড়া আমদানি বাড়ায় সরবরাহ পরিস্থিতি এখন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে ভাল। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ঠিকই, কিন্তু আগের চালানের অনেক পেঁয়াজ রয়ে গেছে। তাই দাম সমন্বয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দ্রুত পেঁয়াজের দাম আরও কমবে বলে আশা রাখছি। এছাড়া বাজারে মোটা চাল ৪৪-৪৬ এবং উন্নতমানের সরু চাল ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চাল ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী দেশী রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশী মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও মাংস গত সপ্তাহের মতো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তুলনামূলক দামও কম।
×