ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে পাউবোর পরিত্যক্ত জমি বেদখল

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে পাউবোর পরিত্যক্ত জমি বেদখল

নিজস্ব সাংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৬ ফেব্রুয়ারি ॥ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের কোটি কোটি টাকার জমি, আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা দেখভাল এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জমি ও আবাসিক ভবন ইতোমধ্যে বেদখলও হয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ের সঠিক অবস্থা, সম্পত্তির অবস্থান ও বতর্মান হাল সম্পর্কে জ্ঞাত নেই অনেক কর্মকর্তার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঠাকুরগাঁও পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) সার্কেলের ১৪০টি আবাসিক ভবন, ৪টি রেস্ট হাউস, ১০০টি গার্ড হাউজ/খালসি হাউজ/অপারেটর শেড সব মিলিয়ে ২৪৪টি ভবনের মোট জমির পরিমাণ ৯৪ দশমিক ৮৯ একর। এর মধ্যে বর্তমানে কাগজকলমে ব্যবহৃত হচ্ছে ১শ’টি ভবন। অবশিষ্ট অব্যবহৃত ১৪৪টি ভবনের বর্তমান হাল হকিকত সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও দফতরের কর্মকর্তাদের তেমন কোন ধারণা নেই। তবে অব্যবহৃত সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ৫২ দশমিক ৮৭ একর জমি ও তদস্থিত ভবনগুলো নিলামের মাধ্যমে অথবা প্রচলিত বিধি মোতাবেক বিক্রয় করা যেতে পারে মর্মে একটি প্রস্তাবনা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেছেন ঠাকুরগাঁও পওর সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অরুণ কুমার সেন’র সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপারেটর শেডগুলো বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত। গভীর নলকূপগুলো বরেন্দ্রর কাছে হস্তান্তর করার পর থেকেই এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড খোঁজখবর নেয় না। এগুলোর বেহাল দশার কথা তিনি স্বীকারও করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন শ্রমিক কর্মচারীর জানান, অধিকাংশ অপারেটর সেড এখন বেদখল হয়ে আছে। প্রতি গভীর নলকূপের সঙ্গে থাকা ১ থেকে দেড় বিঘা পরিমাণ জমিও এখন বেদখল। তারা আরও জানান, জেলার ৮৬১টি গভীর নলকূপের সঙ্গেই সেচ নালার জন্য আছে ১ দশমিক ৫ একর করে জমি। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মাটির নিচ দিয়ে পাইপ ব্যবহার করে সেচের পানি সরবরাহ করে বলে সেচ নালাগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। এ সুযোগে স্থানীয় লোকজন সেচ নালার জমি সমান করে নিজ জমির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছে। এখন সেচনালার জমি আলাদা করার কোন সুযোগ নেই। অনেকে সেসব জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঠাকুরগাঁও এর আওতায় ঠাকুরগাঁও কলোনি, ভুল্লী কলোনি, আখানগর, বড় খোচাবাড়ি, রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও রোড, বালিয়াডাঙ্গী, নেকমরদ, রানীসংকৈল, পীরগঞ্জ এলাকায় পরিত্যক্ত, অব্যবহৃত ভবন ও জমিগুলি আছে। শুধু মাত্র বেদখল হয়ে যাওয়া জমির বর্তমান বাজার মূল্যই প্রায় বিশ কোটি টাকা।
×