ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এমসিকিউই দায়ী ॥ প্রশ্ন ফাঁসের মামলার তদন্তে পর্যবেক্ষণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এমসিকিউই দায়ী ॥ প্রশ্ন ফাঁসের মামলার তদন্তে পর্যবেক্ষণ

গাফফার খান চৌধুরী ॥ এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল ব্যতীত প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধ সম্ভব নয়। এজন্য সব ধরনের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের পদ্ধতি পরিবর্তন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। একমাত্র রচনামূলক ও সৃজনশীল পদ্ধতি প্রণয়ন করা হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো সম্ভব। অন্যথায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর তদন্তকারী সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। আগামী বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা সচিব। প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার তদন্তকারী সংস্থাগুলো বলছে, শুধু এসএসসি নয়, সব ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় প্রশ্নফাঁস হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শতভাগ। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অন্তত এক হাজার জন। এর মধ্যে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে তিন শতাধিক। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পিএসসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিজি প্রেস, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আইটি বিশেষজ্ঞসহ প্রশ্নপত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তাদের বিভিন্ন সময় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ও ডিবির দায়িত্বশীল উর্ধতন কর্মকর্তারা রিমান্ডে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে মূলত এমসিকিউ পদ্ধতির কারণে। গ্রেফতারকৃতরা অনায়াসে স্বীকার করেছে, যতদিন এই পদ্ধতি থাকবে ততদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে। তা যত পদ্ধতিই নেয়া হউক না কেন, রোধ করতে পারবে না। একমাত্র এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করে নতুন কোন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করলে ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। রচনামূলক ও সৃজনশীল পদ্ধতি হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন ভয় থাকবে না। কারণ নকল করে রচনামূলক ও সৃজনশীল পরীক্ষার পুরো নম্বরের উত্তর দেয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এতে করে শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনেক আগেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন করার বিষয়টি জানানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে। কিন্তু আমলে নেয়নি বিষয়টি। এমসিকিউ পদ্ধতি থাকলে এবং যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে একজন পরীক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটাই স্বাভাবিক। না হওয়াটা অস্বাভাবিক। একই অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। পুরো প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। কারণ এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্নের সঠিক উত্তর না জেনেও, অনুমান নির্ভর হয়ে উত্তর করতে পারে। রচনামূলক বা সৃজনশীল পদ্ধতিতে সে সুযোগ থাকছে না। অনুমান নির্ভর কোন উত্তর দেয়ার এবং লেখার সুযোগ থাকছে না। লিখলে ওই প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য কোন নম্বর পাবে না। উল্টো শ্রম বিফলে যাবে। এ কারণে পরীক্ষার্থীরা এমন কাজ করবে না। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে হবে। রচনামূলক লেখার জন্য শিক্ষার্থীকে সিলেবাসের সব কিছু পড়তে হবে। বানান থেকে শুরু করে অনেক কিছুই বাধ্য হয়ে জানতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে। এ বিষয়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার ও সিআইডির মুখপাত্র মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, রচনামূলক ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র পদ্ধতি হলে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রবণতা বাধ্য হয়ে কমে আসবে। এমসিকিউ পদ্ধতি এবং যে দীর্ঘ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে একজন পরীক্ষার্থীর কাছে যায়, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণসহ অনেক তথ্যই ইতোমধ্যেই সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে অবহিত করা হয়েছে। কার্যকর করার বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ওপর। বৃহস্পতিবার ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সচিবালয়ে শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা পদ্ধতিই পাল্টে ফেলা হবে। আগামী বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রুল জারি করে। তাতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায় হাইকোর্ট। শিক্ষা সচিব এমন রুল জারির পর আরও বলেন, পরীক্ষার বর্তমান পদ্ধতি পরিবর্তনে তিনি কাজ করছেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হবে। এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, এমসিকিউ একটি ভাল উদ্যোগ। তবে এদেশের প্রেক্ষাপটে তা কতটা ভাল, তা ভাবনার সময় এসেছে। এই পদ্ধতিটি খুবই ঝামেলা করছে। এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে এমসিকিউ অনেকাংশে দায়ী। প্রশ্নপত্র কোথা থেকে ফাঁস হচ্ছে, তার মূল জানার চেষ্টা চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও বিষয়টির গভীরে যেতে পারেনি। তদন্তকারী সংস্থাগুলো চেষ্টা করছে। তদন্তকারীরা সমস্যাটির মূলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অবশ্যই একটি সুরাহা তদন্তকারী সংস্থাগুলো বের করতে সক্ষম হবে। যেসব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে, যাচাই বাছাই শেষে ওইসব পরীক্ষা বাতিল করা হবে। আদালতের জারি করা রুলের জবাব দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ১০টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বৃহস্পতিবার রসায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও ১৯৭৯ সালে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রথম ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এর মধ্যে ২০১০ সালের ৮ জুলাই রংপুরে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে, একটি বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্রে আগাম পরীক্ষা নেয়ার সময় ১৬৭ জন পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনায় রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। পরীক্ষার্থী ছাড়াও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী হামিদুল হক, কিশোরগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাশার, বিজি প্রেসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী ও বাইন্ডার লাবনী বেগম, পিএসসির (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম এ রউফ গ্রেফতার হন। বিজি প্রেসের ভেতর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য দেয়া ২৮ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার হয় প্রেসটির কর্মচারী আব্দুল জলিল। তদন্তে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে প্রমাণ হয়। এরপর বিজি প্রেসের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক নিরাপত্তা সেল গঠন করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস। এরপর ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও সরকারী চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিদর্শক মফিজুর রহমান মফিজ (৩৫) দশ জন সহযোগীসহ ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়। সহযোগীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় অত্যাধুনিক ঘড়ি সদৃশ ২০টি মোবাইল ফোন ঘড়ি। গ্রেফতারকৃত চক্রটির সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত বলে প্রকাশ পায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। চক্রটির মাধ্যমে অন্তত ৫ হাজার জন সরকারী চাকরি পেয়েছেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী। ২০১২ সালে হারুন-অর-রশীদ হীরা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটের এক পরীক্ষার্থী অপহৃত হয়। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই তাকে অপহরণ করা হয়। পরে হীরাকে অপহরণকারী চক্রের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রুবেল বিশ্বাস (২৪) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র হাবিবুর রহমান হাবিবকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। এদের তথ্যমতে, হীরাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল থেকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতার হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন (২২)। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের সদস্য। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে হীরা নিজেই পরীক্ষা দেয়। হীরা অসৎ উপায় অবলম্বন না করায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় হীরাকে অপহরণ করা হয়েছিল। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা ও চাকরি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার হল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মচারীর মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই অথবা কয়েক মিনিট আগে ফাঁস হয়। তার সিন্ডিকেটের এক্সপার্ট গ্রুপ, যারা বাংলা, ইংরেজী, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদিতে দক্ষ তাদের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করেন এবং মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে তার সঙ্গে চুক্তি থাকা বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর হাতে থাকা ঘড়ি সদৃশ মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দিত। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণীর গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর উপজেলাটির ৪০টি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, খোদ রাজধানীতেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সরকারী চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ শতাধিক সদস্য সক্রিয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত রাঘববোয়ালদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া বুধবার সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রচলিত যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়, যেভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় এবং যে প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র পৌঁছে তাতে অনেকগুলো স্তরে বহু মানুষ জড়িত থাকে। এই প্রক্রিয়ায় পুরো বিষয়টি সম্পন্ন করা একটি চ্যালেঞ্জ। পুরো প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি কঠিন কাজ। এটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম কারণ। প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে অনেক কিছুরই পরিবর্তন আনার কথা বলেন তিনি।
×