ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা থেকে লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলপথ হচ্ছে ॥ রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 ঢাকা থেকে লাকসাম  হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির  রেলপথ হচ্ছে ॥ রেলমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ ঢাকা থেকে সরাসরি কুমিল্লা/লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুত গতির রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বর্তমান দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার হতে ৯০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লার মানুষ এক ঘণ্টার মধ্যে রেলপথে ঢাকা-কুমিল্লা যাতায়াত করতে পারবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শিরিন নাঈমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। তবে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশ্বরোডের পাশ দিয়ে নতুন দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর উপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন মন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটির আওতায় নির্মিতব্য রেলপথ ঢাকা থেকে দাউদকান্দি উপজেলা হয়ে কুমিল্লা প্রবেশ করবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বর্তমান দূরত্ব ৩২১ কিলেমিটার হতে ৯০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। অর্থাৎ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২৩১ কিলোমিটার। দ্রুতগতির রেলপথটি নির্মিত হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ভ্রমণ সময় অনেকাংশে হ্রাস পাবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় নির্ভর করে মূলত ঃ যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেনের ওপর। একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের গড় আয় যেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা, সেখানে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের দৈনিক আয় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। যেখানে প্রতিদিন ৩৫০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে, সেখানে মালবাহী ট্রেন চলে মাত্র ২০-২৫টি। রেলমন্ত্রী আরও জানান, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে আরও যাত্রীবাহী ট্রেন এবং পর্যাপ্ত মালবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় লোকোমেটিভ, কোচ এবং ওয়াগন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত কোচ ও ওয়াগনসহ পর্যাপ্ত ট্রেন পরিচালনা করা হলে রেলওয়ের আর্থিক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে।
×