ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অধিকার ক্ষুণ্ণের নোটিসের নিষ্পত্তি না হওয়ায় সংসদে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অধিকার ক্ষুণ্ণের নোটিসের নিষ্পত্তি না হওয়ায় সংসদে ক্ষোভ

সংসদ রিপোর্টার ॥ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে অধিকার ক্ষুণেœœর নোটিস জমা দিলেও দীর্ঘ সময়ের পরেও তা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। জবাবে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, প্রাপ্ত নোটিসগুলো বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে অপেক্ষাধীন রয়েছে। নোটিসগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এক বছর আগে জমা দেয়া নিজের অধিকার ক্ষুণেœœর নোটিস নিয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নোটিসের অবস্থা জানতে চান সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তার বক্তব্য শেষে সভাপতির আসনে থাকা স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনার নোটিসটি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন সংসদ সদস্যের জমা দেয়া নোটিস গৃহীত হয়েছে। সেগুলোও বিশেষ অধিকার কমিটিতে পেন্ডিং আছে এবং নোটিসগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরই মধ্যে আরও কয়েকটি বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণের নোটিস এসেছে, সেগুলোও বিবেচনাধীন আছে। সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বিশেষ অধিকার ক্ষুণেœœর নোটিসের জবাব চেয়ে এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, এক বছর আগে কিছু পত্রিকার নিউজের কারণে আমি একটা অধিকার ক্ষুণেœœর নোটিস দিয়েছিলাম। এক বছর পেরিয়ে গেছে আমি তার কোন রেজাল্ট পাইনি। দৈনিক প্রথম আলোর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যে সমস্ত পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে লিখছে বিশেষ করে যে পত্রিকা ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল অথবা নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল কিংবা আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করেছিল। তারা নতুন করে আবারও সংসদ সদস্যদের চরিত্র হরণ শুরু করেছে। তিনি বলেন, পত্রিকাটি আমার এলাকাতে আমার ব্যাপারে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। এমনকী ওই পত্রিকার সম্পাদক খোদ আমার এলাকায় গিয়ে হাজির হচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন। স্পীকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, যদি দেখা যায় একজন এমপি ন্যায় বিচার চেয়ে অধিকার ক্ষুণেœœর নোটিস দেয়ার এক বছর পরেও কোন রেজাল্ট নেই, তাহলে আমরা যাব কোথায়? সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, দেশে সৎ সাংবাদিকের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ আর অসৎ সাংবাদিকের সংখ্যা মাত্র এক শতাংশ। অসৎ সাংবাদিক যারা আছেন, যারা সংবাদ মাধ্যমকে অন্য কিছু হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তারা সংবাদপত্রকে বা সংবাদ মাধ্যমকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তারাই বার বার ক্ষত-বিক্ষত করবে। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন ধরনের নিউজের মাধ্যমে পত্রিকাটি দেশকে অশান্ত করার চেস্টা করছে। তবে আমি লড়াই করতে অভ্যস্ত। কারণ আমি সত্যের পথে রয়েছি। ব্যাংকগুলো ২০ হাজার কোটি টাকা চাওয়ায় ক্ষোভ ॥ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংবাদ বেরিয়েছে ব্যাংক তার মূলধন হারিয়ে ফেলেছে। সেজন্য ব্যাংকগুলো সরকারের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন সহায়তা চেয়েছে। গত ৫ বছরে সরকার ১০ হাজার কোটি সহায়তা করেছে।
×