ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চেইন অভিবাসন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্ক শুরু

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চেইন অভিবাসন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে বিতর্ক শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সংস্কারের প্রচেষ্টা বুধবার সিনেটরদের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। অনেকে ড্রিমার্স পরিকল্পনাকে রক্ষা করার কথা জানিয়েছেন। অন্যরা সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানকে নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। এদিকে ট্রাম্পের অবস্থানের প্রেক্ষিতে মেলানিয়ার মা-বাবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এএফপি ও নিউজ উইক। সিনেটররা রুদ্ধদার বৈঠকে এক সম্ভাব্য মতৈক্যে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এজন্য ১৮ লাখ অবৈধ অভিবাসীর সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা হিসেবে সিনেটররা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। যার মধ্যে শিশু বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়াদের ভাগ্য নিয়ে বিতর্কে বুধবার দিনের শেষে এ মতানৈক্য দেখা দেয়। পরে রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন সিনেট মতৈক্যে পৌঁছতে শুক্রবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। বৃহস্পতিবার এজন্য ভোট হওয়ার কথা ছিল। যাতে প্রেসিডেন্টও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য এক শ’ সদস্যের সিনেটের অন্তত ৬০টি ভোটের প্রয়োজন। সিনেটররা বিষয়টি নিয়ে খুবই কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন নিয়ে। দ্বিপাক্ষিক জোটে আট রিপাবলিকান ও আট ডেমোক্র্যাট বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সিনেটর সুসান কলিন্স এক বিবৃতিতে জোটের পরিকল্পনা ঘোষণা করে জানান, আমাদের আইনটি ড্রিমারদের জন্য নাগরিকত্বের পথ তৈরির জন্য বিস্তৃত করা হয়েছে। এটি দ্বিপক্ষীয় অঙ্গীকারের ওপর জোর দেয়। যারা অবৈধভাবে এখানে আসেন তাদের ব্যাপারে নিজেদের কোন সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেয়া হয়নি। যদিও সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ড্রিমার্স পরিকল্পনা রক্ষা করার কথা ও সীমান্ত নিরাপত্তায় অনুদান সহায়তা দেয়ার কথা জানান হয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, দ্বিপক্ষীয় প্রচেষ্টায় শুধুমাত্র পরিবার পুনর্বিন্যস্তকরণের মাধ্যমে সীমিত আকারে পরিবর্তন করা হবে। ডাইভারসিটি লটারির কিছুই করা হবে না। কারণ এটি খুব রাজনৈতিকভাবে বিষাক্ত হয়ে আছে। পরিকল্পনাটি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেজন্য আমি মনে করি ৬০টি ভোট পাওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ রয়েছে। এদিকে ড্রিমার পরিকল্পনা পাস হলে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের মা-বাবার অভিবাসন ব্যবস্থা কি হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মেলানিয়ার মা-বাবা আমালিজা ও ভিক্টর নাভসের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসনাল বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ড্রিমার্স বিলে চেইন মাইগ্রেশনকে নিয়ন্ত্রিত করার কথা বলেছেন। যাতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা পরিবারগুলোর সঙ্গে তাদের আত্মীয়দের নাগরিকত্ব পাওয়াকে আরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা মেলানিয়া ট্রাম্পের মা-বাবার কথা জানিয়ে প্রশ্ন করছেন। এ নিয়ে গত সপ্তাহে একটি টুইট ভাইরাল হয়ে পড়ে। ওয়াশিংটন পোস্ট এক মূল্যায়ন করেছে যেখানে চারটি সম্ভাব্যতার কথা বলা হয়েছে। ফার্স্টলেডির মুখপাত্র, কোনটিই প্রয়োগযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন। আইআর-৫ ভিসায় মেলানিয়ার মা-বাবা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তারা বৈধ কেননা তারা একজন মার্কিন নাগরিকের মা-বাবা। তারপরও তার মা-বাবার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে। কেননা তারা এফ-১ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। যা শুধুমাত্র বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া হয়। যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে যতদিন লেখাপড়া করেন ততদিন সেখানে থাকতে পারেন। মেলানিয়ার ভিসার মেয়াদ শেষ। তাতে তার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। তার স্বামী একজন মার্কিন নাগরিক বলে। তিনি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নিজের ভিসার মেয়াদ বাড়াননি গ্রীন কার্ড ধারী বলে বিবেচিত হচ্ছেন মার্কিন নাগরিকের স্ত্রী হিসেবে।
×