ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুমন্ত গুপ্ত

বিদায় জন গ্যাভিন...

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিদায়  জন গ্যাভিন...

সাইকো বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক আলফ্রেড হিচকক পরিচালিত একটি সাসপেন্স থ্রিলার, হরর এবং মনোজাগতিক জটিলতা ও বিকৃতিধর্মী চলচ্চিত্র। ১৯৬০ সালে এটি মুক্তি পেয়েছিল। মানসিক বিকৃতিতে আক্রান্ত এক খুনীকে ঘিরে এর কাহিনী নির্মিত হয়েছে। রবার্ট ব্লখ-এরউপন্যাস সাইকো অবলম্বনে এর নির্মাণ করা হয়। আলফ্রেড হিচককের কাল্ট সিনেমা ‘সাইকো’-খ্যাত অভিনেতা জন গ্যাভিন আর নেই। শুক্রবার ভোরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেভারলি হিলসের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৮৬ বছর বয়সী এ অভিনেতা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। সাইকো ও স্পার্টাকাস-এর মতো ছবির অভিনেতা ছিলেন জন গ্যাভিন সাইকো ও স্পার্টাকাস-এর মতো ছবির অভিনেতা ছিলেন জন গ্যাভিন। পঞ্চাশের দশকে চলচ্চিত্রে ‘হ্যান্ডসাম’ নায়ক হিসেবে নিজের নাম লেখান জন। প্রথম সাফল্য আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র আ টাইম টু লাভঅ্যান্ড আ টাইম টু ডাই সিনেমা দিয়ে। এরিখ মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হয়। ছবিটি প্রযোজনা করে ইউনিভার্সেল পিকচার্স। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জন গ্যাভিনকে ‘একজন অদ্ভুত সুদর্শন তরুণ’ বলে প্রশংসা করে। পরের বছরই প্রখ্যাত অভিনেত্রী লানা টারনারের বিপরীতে গ্যাভিনকে নায়ক হিসেবে নেওয়া হয় ইমিটেশন অব লাইফ সিনেমায়। এরপর তিনি অভিনয় করেন ‘মাস্টার অব সাসপেন্স’খ্যাত আলফ্রেড হিচককের ‘সাইকো’ ছবিতে। পরে স্ট্যানলি কুবরিকের অমর সৃষ্টি ‘স্পার্টাকাস’ ছবিতে জুলিয়াস সিজারের চরিত্র। সিনেমায় নিজের জাতচেনাতে শুরু করেছিলেন জন গ্যাভিন। একে একে অভিনয় করেন ব্যাক স্ট্রিট, রোমানফ এ্যান্ড জুলিয়েট, ট্যামি টেল মি ট্রুু ছবিগুলোতে। ষাটের দশকের শেষের দিকে জন অভিনয় কমিয়ে দেন। ছোট ছোট চরিত্র করেন কিছু চলচ্চিত্রে। টিভিতেও কাজ করেন এ অভিনেতা। স্ক্রিন এ্যাক্টর গিল্ডের সভাপতিও ছিলেন ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। এরই মাঝে তিনি ঝুঁকে পড়েন কূটনৈতিক পেশার দিকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সময়ে মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন তিনি। গ্যাভিন ‘স্পাটাকাস’ সিনেমায় জুলিয়াস সিজার ও ‘ইমিটেশন অবলাইফ’-এ স্টিভ আর্চার চরিত্রে অভিনয় করেন। ‘আ টাইম টু লাভ অ্যান্ড আ টাইম টু ডাই’-এ অ্যানেস্ট গ্রাবার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য গোল্ডেনগ্লোব পুরস্কার জেতেন।
×