ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলছে জয়া বন্দনা

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চলছে জয়া বন্দনা

কিছুদিন পরই যানা যায় অভিনেত্রী জয়া আহসান করছেন সুপ্রিয়া দেবীর করা সেই আলোড়িত চরিত্র, কররী গুহ। পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে তিনি কতটা উপরে উঠেছেন টিটাউনে! দিন চারেক আগে ঘোষণা এল টালিউড বিগ স্টার রজ্জিত মল্লিকের তনয়া কোয়েল মল্লিকের জায়গায় ‘কণ্ঠ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশী এই অভিনেত্রী। এটা রিতিমত আমাদের সিনেপাড়ায় সরগরমের বিষয়। জয়ার এই জয়যাত্রা মূলত অনেকটা দৃঢ় হয়েছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’ সিনেমার জয় জয়কারের মধ্য দিয়ে নতুন বছর শুরু হয়ে, দুই মাস প্রায় গত হতে চলেছে। এর মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত ঢাকাই সিনেমার সংখ্যা হতে গোন দু-তিনটি। গত পাঁচ জানুয়ারি দেশব্যাপী মুক্তি পেয়েছে সরকারী অনুদানের ছবি ‘পুত্র’। এই সিনেমায় অভিনয় করেছে জয়া আহসান, ফেরদৌস এবং শিশুশিল্পী লাজিমসহ অনেকে। মাত্র সপ্তাহ খানেক চলার পর সিনেমা ‘পুত্র’ আর এগোনি। লাভ-ক্ষতি হিসেবও আলোচনায় আসেনি! এরপর প্রায় দু-তিন সপ্তাহ কোন নতুন সিনেমা হলে আসেনি। পরবর্তীতে নুসরাত ফারিয়ার ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ আরিফিন শুভর ‘ভাল থেকো’ এসেছে। দর্শকদের আগ্রহের বিবেচনায় ছবি দুটোর সার্বিক অবস্থা আপাতত খুব একটা ভল নয়। আসল কথা হলো আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প বর্তমানে বেশ খারপ সময় অতিবাহিত করছে। এটা যেমন সত্য! তেমনি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির আলো বাতাসে বড় হয়ে কেউ কেউ নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে সুনিপুণতার ছাপ রাখছে, ভিন দেশের বড় বড় ক্যাভাসে। বর্তমানে এদের মধ্যে জয়ার নাম সবার প্রথমে! গত দুটি বছর তাকে নিয়ে দেশের বাইরে বিশেষ করে ভারতীয় পত্রপত্রিকায় যেভাবে খবর হয়েছে, তাতে করে তার ব্যক্তিগত যোগ্যতার প্রভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির নামই বরং উজ্জ্বল হয়েছে! আমাদের শিল্পীদের সাহস বলি আর অনুপ্রেরণা বলি সবই এখন জুটছে জয়ার কারিশমায়। জয়া এখন টালিউডের বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত গ্ল্যামারার্স নায়িকাদের পেছনে ফেলে প্রথম সারিতে চলে এসেছেন। গত কয়েক দিনের কথা, ঢাকা এবং কলকাতার বেশিরভাগ পত্রিকায় জয়ার ছবি এবং খবর নিয়মিত ছাপা হয়েছে। শুরুটা প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর অন্তিমযাত্রা থেকেই বলা চলে। গেল মাসের শেষের দিকে যখন সুপ্রিয়া দেবী গত হলেন তখন জয়া তার ফেসবুক পেজে দুঃখ শেয়ার করে লিখেছে, ‘আজ খুব ভোরে আর একবার শূন্য হওয়ার খবর পেলাম। মেঘে নাকি ঢাকা পড়েছে সেই তারা, যে তারার একটি আকুতি আজীবন আমাদের ভাবিয়েছে, আপ্লুত করেছে। ‘দাদা আমি বাঁচতে চাই’ বলে আর কেউ আর বাঁচতে চাইবে না। কারণ আজ থেকে তিনি স্থায়ীভাবে আসন গড়ে নিয়েছেন মেঘলা আকাশে। আজ আকাশে মেঘ জমলে তাকে মনে করব। মেঘে ঢাকা তারা দেখে অস্ফুটস্বরে বলব, ভাল থাকুন সুপ্রিয়া দেবী। ভাল থাকুন বেণুদি, ভাল থাক নীতা...। সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে তার এমন আবেগ মিশ্রিত লেখা অনেকেই ভাবিয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর ঘোষণা আসে এই সময়ের মেধাবী চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জীর থেকে। আমরা পুনরায় নির্মাণ করব, মহানায়ক উত্তম কুমার-সুপ্রিয়া দেবীর সেই কালজয়ী সিনেমা ‘চৌরঙ্গী’। এর কিছুদিন পরই যানা যায় অভিনেত্রী জয়া আহসান করছেন সুপ্রিয়া দেবীর করা সেই আলোড়িত চরিত্র, কররী গুহ। পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে তিনি কতটা ওপরে উঠেছেন টিটাউনে! দিন চারেক আগে ঘোষণা এলো টালিউড বিগ স্টার রজ্জিত মল্লিকের তনয়া কোয়েল মল্লিকের জায়গায় ‘কণ্ঠ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশী এই অভিনেত্রী। এটা রীতিমতো আমাদের সিনেপাড়ায় সরগরমের বিষয়। জয়ার এই জয়যাত্রা মূলত অনেকটা দৃঢ় হয়েছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’ সিনেমার জয় জয়কারের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জয়া আহসান সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত জি-সিনে এ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক অশ্বিনী তিওয়ারি। ভারতের ৬৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জয়া আহসান অভিনীত ‘বিসর্জন’ চলচ্চিত্রটি সেরা বাংলা ছবির বিভাগে সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছিল। গেল বছর আগস্টে মুক্তি পায় জয়া ও অরিন্দম শীল অভিনীত ‘ঈগলের চোখ’ এই সিনেমায় জয়ার অভিনয় ছিল অনবদ্য। এ ছাড়া ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার শহর দ্য সিটি অব লাভ’ও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়। বাংলাদেশে ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’য় সাহসী অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হন। একই বছর তিনি ৪০তম বাচসাস ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। দেশে এবং বিদেশে তার অর্জন ইতোমধ্যে অনেক। নিজেকে অভিনেত্রী নয় বরং অভিনয় শিল্পী হিসেবে উপস্থাপন করতে চান এই গুণী মানুষটি। তার অভিনয় গুণ সম্পর্কে পরিচাকল সৃজিত মুখার্জী বলেছেন, ‘জয়া হলো কাদা মাটির মতো, ওকে যে কোনভাবেই গড়ে তোলা য়ায়। সব মিলিয়ে এপার বাংলা ওপার বাংলায় রীতিমতো চলছে জয়া বন্দনা।
×