স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সতীর্থরা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরায় সাহোসেন (১৬) নামের দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বখাটে ও সতীর্থরা। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছে। একজন পালিয়ে প্রাবাঁচিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের বকচরা বাইপাস সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাকিব হোসেন সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ও পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া আহত রাশেদ শহরের রসুলপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে সহপাঠী মীরা নামের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ও বকচরা ও কামাননগর এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধকে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ জানান, সাকিব হোসেন, রাশেদ ও অমি পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকচরা এলাকায় মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে কামাননগর কলোনির আব্দুল কাদের ও একই এলাকার জনৈক শান্তর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের বচসা হয়। বিষয়টি সেখানেই নিষ্পত্তর হয় বলে আহতরা জানান। পরে মাহশুনে বাড়ি ফেরার পথে বকচরা বাইপাস সড়কে পৌঁছানো মাত্রই কাদের ও শান্তসহ তাদের কয়েকজন সঙ্গী সাকিব, রাশেদ ও অমির উপর হামলা করে। এ সময় গাছের ডাল দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পিটানো হয়। সাকিব ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। আহত হয় রাশেদ। দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় অমি। পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় সাকিব ও রাশেদকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ হাফিজুলাহ জানান, ভারি জিনিস দিয়ে আঘাত করায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে সাকিবের মৃত্যু হয়েছে। রাশেদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহরের কামাননগরের হাফিজুল ইসলাম (৬০), মেহেদী হাসান ফয়সল (১৫), যুবায়ের হোসেন (১৮), রনি (১৮), শাহিনুর (২৪) ও ইটাগাছার আবু হাসান (৩৮) কে আটক করেছে পুলিশ।